বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা চাইলেন অর্থমন্ত্রী

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০১৯-১০-২১ ১৯:১৭:৪৫  

নাইম হাছান জামিঃ


বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের বিকল্প নেই। দ্রুততম সময়ে তাদের ফেরত পাঠাতে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাংককে বলা হয়েছে রোহিঙ্গাদের জন্য আমরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এ জন্য তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়া অত্যন্ত জরুরি।


ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে শনিবার রোহিঙ্গা শরণার্থীবিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে এসব আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে এসব কথা জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ওই বৈঠকের পাশাপাশি বিশ্বের দুটি শীর্ষস্থানীয় সিটি ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ও এইচএসবিসি ব্যাংকের সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি বিশ্বব্যাংক বিশ্ববাসীর সঙ্গে আলাপ করে একটা ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিবে। ইতিমধ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে বাংলাদেশের চুক্তি হয়েছে। কিন্তু সেখানে কোনো টাইম লাইন দেয়া হয়নি। আশা করি দ্রুত টাইম লাইন আসবে।

ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শেফার, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ, অর্থ সচিব আবদুর রউফ তালুকদার প্রমুখ। কিভাবে দ্রুত সময়ে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্পন্ন হতে পারে সেই বিষয়ে বিশ্বব্যাপী জনমত গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংককে জোরালো ভূমিকা রাখতে বলেছে। এই বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন হার্টউইগ শেফার।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে মানবিক কারণে আশ্রয় দেয়া হলেও এখন তার উচ্চমূল্য দিতে হচ্ছে। কক্সবাজারসহ ওই এলাকার পুরো পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। এতে আমাদের সামাজিকভাবে ও জলবায়ুগত চ্যালেঞ্জ বাড়ছে। আমাদের সামাজিক বন্ধনসহ যেসব ক্ষতি হচ্ছে তা ডলার বা টাকার অঙ্কে পরিমাপ করা সম্ভব নয়। তাই রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে, এটাই আমাদের প্রধান চাওয়া। এজন্য বিশ্বব্যাংক বা অন্য কোনো উন্নয়ন সহযোগীর এ খাতে আর্থিক সহায়তার বিষয়টি আমরা ভাবছি না। আমরা ভাবছি তাদের প্রত্যাবাসন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। আশা করি বিশ্বব্যাংক সবার সঙ্গে আলোচনা করে আমাদের একটা সুন্দর সমাধানের পথ দেখাবে। এই বিষয়ে বিশ্বের সবাই আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছে। এতে চীন, ভারত ও জাপান প্রত্যেকে একেকটি বড় ফ্যাক্টর। ফলে এদের বাদ দিয়ে কিছু করা যাবে না। তারা সব আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

বিশ্বের দুটি শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক সিটি ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ও এইচএসবিসি ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংক দুটি বাংলাদেশে পুঁজিবাজার ও বন্ড মার্কেটে বিনিয়োগ বাড়াতে চায়। এই সংক্রান্ত দুটি প্রস্তাব আলাদাভাবে বিশ্বব্যাংকের সভায় অর্থমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব দিয়েছে।


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা