বাংলাদেশ, , বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

পাহাড়ে ঘেরা সবুজ ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০১৯-০৭-০৪ ১৭:২৯:২০  
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থীরা

বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে অন্যতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পাহাড়ে ঘেরা সবুজ অরণ্যের মধ্যে আমাদের এই ক্যাম্পাস। ৪৩ একর জমির ওপর নিজস্ব ক্যাম্পাসে ৪০টি ভবনে আইআইইউসির শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। দেশের শিক্ষার্থীর পাশাপাশি ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা, চীন, সোমালিয়া, মালদ্বীপ, নাইজেরিয়া, ইথিওপিয়া ও সুদানের ২ শতাধিক বিদেশি ছাত্রছাত্রী অধ্যয়ন করছে। ক্যাম্পাসের যেদিকে দৃষ্টি যায় সেদিকেই সবুজ আর সবুজ। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যে কাউকে বিমোহিত করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান আকর্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেট, সেন্ট্রাল মসজিদ, সেন্ট্রাল লাইব্রেরি, খেলার মাঠ, অডিটোরিয়াম, শহীদ মিনার, বিবিএ বিল্ডিং, হল, সায়েন্স ফ্যাকাল্টির পিছনে রেললাইন এবং ক্যাম্পাস থেকে খুব কাছেই সমুদ্র সৈকত, খৈয়াছড়া ঝর্ণা, সীতাকুন্ড ইকোপার্ক, ভাটিয়ারী ক্যাফে২৪, মহামায়া লেক ও কুমিরা ঘাট। বিশ্ববিদ্যালয় রাতের ক্যাম্পাস যেন এক অসাধারণরূপে সাজতে থাকে। যারা হলে থাকে তারাই এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে। চারদিকে লাল, নীল, সবুজের আলোর মেলা বসে। বিশ্ববিদ্যালয় কেবল বড় বড় ডিগ্রি অর্জন আর ক্লাস, অ্যাসাইনমেন্ট, মিড, থিসিস আর পরীক্ষায় সীমাবদ্ধ থাকবে এই ধারণা মানতে নারাজ আইআইইউসিয়ানরা। লেখাপড়ার পাশাপাশি আড্ডা, গান, বিতর্ক, নাটক, খেলাধুলা, সমসাময়িক বিষয় নিয়ে চলে আলোচনা। রাতের বেলা হলের সামনে খেলাধুলা আর আড্ডায় মাতিয়ে রাখে ক্যাম্পাস। আইআইইউসিয়ানদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে জ্ঞানের সঙ্গে নৈতিকতার সমন্বয় ঘটিয়ে একজন আদর্শ দেশ গড়ার কারিগর হওয়া। প্রতিটি ডিপার্টমেন্টে আছে কালচারাল ক্লাব যার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা সৃজনশীল কর্মকান্ডে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে থাকে। আর এজন্যই দিনকে দিন সবার নজর কেড়েছে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম। ইংরেজি বিভাগের চতুর্থবর্ষের শিক্ষার্থী জুনায়েদুল বারী বলেন, শিক্ষার মানের পাশাপাশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং অবকাঠামোগত সমৃদ্ধির কারণে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় অন্যান্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে আলাদা করে তুলেছে। আইন বিভাগের প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী ছালেম চৌধুরীর কথায় উঠে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ। তিনি বলেন, আমাদের ক্যাম্পাস রাজনীতি ও ধূমপানমুক্ত, সিনিয়র-জুনিয়র সৌহার্দ এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের অনন্য দৃষ্টান্ত। কুর’আনিক সায়েন্সেস বিভাগের চতুর্থবর্ষের শিক্ষার্থী শাকির, শরিফ, সালেহ, আনিসরা বলছিলেন, আমরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয়ে পাবলিকে না পড়ার একটা আপসোস ছিল কিন্তু আইআইইউসির পরিবেশ আমাদের কিছুটা হলেও তা পূরণ করছে। কম্পিউটার বিভাগের নাইজেরিয়ান শিক্ষার্থী শামসু সানী বলছিলেন, আমি বাংলাদেশের আইআইইউসির ক্যাম্পাসে এসে আমার কখনো মনে হয়নি আমি আমার দেশের বাইরে আছি। এটা আমার দ্বিতীয় জন্মভূমি শিক্ষকরা আমাদের সঙ্গে পিতার স্নেহ দিয়েছে। ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক, মেহেদী, মারুফরা বলছিলেন তাদের ভালো লাগার কথা, আমরা প্রথম এসে সবুজ শ্যামল ক্যাম্পাসের প্রেমে পড়েছিলাম। এই ক্যাম্পাসের প্রতিটি কোণায় জড়িয়ে আছে ভালোবাসা তাই যখনি অবসর পাই তখনি আড্ডা দিতে বসি। আমাদের পাহাড়ে ঘেরা সবুজ এই ক্যাম্পাসে সবাই আপন মনে মুক্তজ্ঞানচর্চা করে চলছে। সবার একটাই স্বপ্ন আগামীর পথচলা সবুজের মতো সৌন্দর্য ও বিশালতা হোক।


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা