বাংলাদেশ, , শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

মফস্বল সাংবাদিকের খোলা চিঠি

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০১৯-১০-১৮ ১৮:৫৯:০৭  

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কক্সবাজার মফস্বল সাংবাদিকের খোলা চিঠি


মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
আপনার পবিত্র কদম মোবারকে রইল আমার শশ্রদ্ধ সালাম এবং দেশের মফস্বল সাংবাদিকদের উপর অনিয়ম দুর্নীতিবাজ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও মাদক কারবারীদের দমন নিপিড়ন বন্ধের কটোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রইল সবিনয় অনুরোধ।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
সাংবাদিক ও সংবাদপত্র দেশের প্রতিচ্ছবি। একজন সাংবাদিকের কলম ও সংবাদপত্র দেশের সার্বিক পর্যালোচনার জন্য কতটা গুরুত্ববহ তা আপনাকে বলার অপেক্ষা রাখেনা। আমরা দেশের সর্বদক্ষিনের কক্সবাজার জেলায় সাংবাদিকতা করি। বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ রোহিঙ্গার বোঝা আমরাই বহন করে যাচ্ছি। রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় কক্সবাজার জেলা আজ অনিয়ম দুর্নীতি ও মাদকের স্বর্গরাজ্য হিসেবে সারাদেশে আখ্যয়িত। টিক তেমন একটি পর্যায়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার কাছে সঠিক সংবাদটি পৌছানোর দায়িত্বে কক্সবাজার এলাকায় কর্মরত সাংবাদিকরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এমন একটি অবস্থায় দুর্নীতিবাজ প্রশাসনিক কর্মকর্তা, স্বার্থন্বেষী রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও মাদক-চোরকারবারীদের যাথাকলে আজ আমরা রক্তাক্ত ও ক্ষতবিক্ষত। মামলার বেড়াজালে অসহায় আজ সাংবাদিক সমাজ। দেশপ্রেম ও দেশমাতৃত্বের টানে আজ আমরা সাংবাদিক। আর কি মোহ আছে আমাদের? বিশেষ করে মফস্বল সাংবাদিকতায় “ঘরের খেয়ে মামুর বাড়ির মহীষ চড়ানোর” মতই আমাদের অবস্থা!

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মফস্বল সাংবাদিকতায় আপনার সু-দৃষ্টি কামনা করছি, অন্যতায় কক্সবাজারে সাংবাদিক ও সাংবাদিকতা বিলুপ্ত হওয়ার আশংখা প্রবল। আমি হলুদ সাংবাদিকতার কথা বলছিনা।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, র্দীঘায়ীত করবনা, নিজেকে নিয়ে ছোট্ট উদাহরন দিয়ে শেষ করব। আমি কক্সবাজার জেলা থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কক্সবাজার জেলার প্রয়াত সভাপতি এড. একে আহাম্মদ হোছাইন কতৃক প্রকাশিত “দৈনিক আলোকিত উখিয়া” সংবাদপত্রের সম্পাদক হই। তিনি গত ১৮ নভেম্বর ২০১৮ইং মৃত্যুবরন করেন। আল্লাহ উনাকে বেহেস্তে নসিব করুক। আমি উনার মেয়ের জামাতা। দেশের মূলধারার দৈনিকগুলোর সংবাদ পরিবেশনের দিকে তুলনামূলক মনোযোগী হলেই টের পাওয়া যায়, “দৈনিক আলোকিত উখিয়া” মাদক, অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কি অবদান রাখতে পেরেছে। এই দৈনিকের সম্পাদক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ভাস্বর থেকে নিয়োজিত থাকার জন্য আমি মনেপ্রাণে গর্বিত। লিখিত ধারাভাষ্য থেকে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও একজন শেখ হাসিনার অত্যাধুনিক বাংলাদেশ গড়ার দীপ্ত পথপরিক্রমা পাঠক শ্রেণির কাছে তুলে ধরে প্রজন্মকে সবিশেষ বার্তা দেওয়ার প্রাণান্ত অযুত উদ্যোগের উপজীব্য ছিল দৈনিক আলোকিত উখিয়া।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আকুতির বিষয়বস্তু আপনার জ্ঞাতার্থে পেশ করিলাম। অনুধাবনে মনোযোগী হওয়ার মিনতি করছি।
কক্সবাজার সদরের ১০ নং ঝিলংজা ইউনিয়নের পূর্ব মোক্তারকুল দরগাহ পাড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত দানু মিয়ার পুত্র দিদারুল আলম। মাদ্রাসায় শিক্ষাজীবন শুরু করে তার ভাষ্যমতে সে একজন কোরানে হাফেজ। অপরদিকে, ক্রাইম ডাটা মেনেজমেন্ট তথ্যে দেখা যায় দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৩১ মার্চ চাঁদাদাবী, খুন করার উদ্দেশ্যে মারধর ও চুরি করার অপরাধে কক্সবাজার সদর থানায় দিদারের নামে ১ম মামলা নতিভুক্ত হয় মামলা নং-৪৪ ধারা- ১৪৩/৪৪৮/৩৮৫/৩২৩। ২০১১ সালে ৩০ মার্চ হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর, চুরি অপরাধে একই থানায় ২য় মামলা নতীভুক্ত হয় মামলা নং-৭০ ধারা- ১৪৩/৪৪৮/৩২৩/৩০৭/৩৭৯/৪২৭/৫০৬। ২০১৮ সালে ২ আগষ্ট হত্যার উদ্দেশ্য, চুরি ও হুমকির অপরাধে একই থানায় দিদারের বিরুদ্ধে ৩য় মামলা নতীভুক্ত হয় মামলা নং-১০। ধারা- ৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৭৯ /৫০৬/৩৪। ২০১১ সালে ১০ আগষ্ট ডাকাতীর অপরাধে একই থানায় ৪র্থ মামলা নতীভুক্ত হয়। মামলা নং-৩৪। ধারা- ৩৯৫/৩৯৭। মামলার নতী অনুসারে ডাকাত, চুর, চাঁদাবাজ দিদারের অপকর্ম ধামাচাপা দিতে সে কক্সবাজার জেলার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠন আওয়ামী মটর শ্রমিক লীগ ও মটরচালকলীগের জেলা সভাপতি হিসেবে নিজেকে দাবী করে কক্সবাজারবাসীর সাথে প্রতারনা করে বেড়াচ্ছে। অন্যদিকে সে নিজেকে “ঝিলংজা বাংলাদেশী আওয়ামীলীগের” সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে প্রচার করে বাংলাদেশের বৃহত্তর সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নাম বিকিৃত করে সে “বাংলাদেশী আওয়ামীলীগ” বলে নতুন আরেকটি দল তৈরী করার প্রয়াস চালাচ্ছে। যা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার বক্তব্য অনুযায়ী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সংগঠনে কোন অঙ্গ সংগঠন নেই। তাহলে কক্সবাজার জেলায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠন আওয়ামী মটর শ্রমিক লীগ ও মটরচালকলীগের সভাপতি আসলো কিভাবে..?

জনগণ জানতে চাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমরা সকলে জানি আপনার সংগঠনের নাম “বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ” তাহলে কক্সবাজার “ঝিলংজা বাংলাদেশী আওয়ামীলীগের” সাংগঠনিক সম্পাদক আসলো কিভাবে ? দিদার “আওয়ামীলীগের” সাথে “বাংলাদেশী” শব্দ যুক্ত করে নতুন দল করার প্রয়াশ নয়তো? এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে দৈনিক আলোকিত উখিয়ায় দিদারের অতীত ও বর্তমান অপকর্মের তথ্য উপাত্ত সমৃদ্ধ সংবাদ জনগণের কল্যাণে সতর্কতামূলক প্রকাশিত হয়।

দিদার বিশেষ নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দাবী করে সংবাদপত্রের সম্পাদকসহ পাঁচ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকার চাঁদা আদায়ের অভিযোগ ও ১০ কোটি টাকার মানহানির অভিযোগ এনে কক্সবাজার জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১ম মামলা করে যার নং-৮৩৩/২০১৯ এবং সাইবার ট্রাইব্যুনালে ২য় মামলা দায়ের করেন মামলা নং-২০৪/২০১৯। মামলা দুইটির ১ম টি কক্সবাজার পিবিআই এর কাছে তদন্তাধীন আছে এবং ২য় মামলাটি সাইবার ট্রাইব্যুনাল কক্সবাজার সদর থানায় তদন্তে পাঠালে এসআই ইকবাল আরিফ সঠিক তদন্ত না করে দিদারের কথায় প্রভাবিত হয়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ভুল রিপোর্ট প্রদান করেন। ট্রাইব্যুনাল সাংবাদিকদের কক্সবাজার থেকে ঢাকা যাওয়ার জন্যে সমন জারী করেন। হায়রে নিয়তি, থানার নতীভুক্ত ডাকাত, চুর চাঁদাবাজ ও প্রতারক কতৃক একজন পুলিশ অফিসার প্রভাবিত!

 

আমরা চ্যালেঞ্জ করে বলছি দিদারের কাছ থেকে চাঁদা দাবীতো দুরের কথা আমরা কখনো দিদারের সাথে কথা বলিনি দেখাও করিনি। পুলিশ কিভাবে আমাদের চাঁদাদাবীর বিষয়টি প্রমাণ করল আমাদের বোধগম্য নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি এই সমস্ত পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। আমরা কক্সবাজারের সাংবাদিক সমাজ আপনার কাছে আমাদের করজুরে মিনতী আমাদের এই চরম অসহায়ত্ব থেকে রক্ষা করুন।

বিনীত
মোহাম্মদ মিজান উর রশীদ মিজান
সম্পাদক, দৈনিক আলোকিত উখিয়া।
সভাপতি, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) কক্সবাজার।
সদস্য- সম্পাদক পরিষদ কক্সবাজার।
সভাপতি, উখিয়া উপজেলা প্রেস ক্লাব উখিয়া, কক্সবাজার।


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা