বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

৮ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েও হয়নি চাকরি, কাঁদলেন প্রার্থী

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০১৯-১০-১৭ ১০:৩৭:২৪  

যশোর প্রতিনিধি, বাংলাদেশ পেপারঃ

যশোরে একটি স্কুলে সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে চাকরির জন্য দুই দফায় প্রায় আট লাখ টাকা দেয়া হয় স্কুলের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককে।

সদর উপজেলার রূপদিয়া ওয়েলফেয়ার একাডেমির সভাপতি অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন ও প্রধান শিক্ষক বিএম জহিরুল পারভেজ ওই পদে অন্যকে নিয়োগ দিলেও আমার টাকা ফেরত দেননি বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী চাকরিপ্রার্থী নুর ইসলাম।

গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ঘুরেও টাকা ফেরত না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ভুক্তভোগী নুর ইসলাম। টাকার অভাবে প্রতিবন্ধী সন্তান ও অসুস্থ বাবার চিকিৎসা করাতে পারছেন না।

অভিযোগ প্রসঙ্গে স্কুলের সভাপতি অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বলেন, চাকরির নামে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ বানোয়াট। প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সদর উপজেলার বলরামপুর গ্রামের বাসিন্দা নূর ইসলাম বলেন, ২০১৫ সালের ছয় মার্চ গ্রন্থাগারিক পদে প্রথম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

এর পর চাকরি দেয়ার কথা বলে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক আমার কাছ থেকে সাত লাখ টাকা নেন।

কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবেই তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিয়োগ বোর্ড গঠন করেননি। পরে একই বছরের ১০ অক্টোবর দ্বিতীয়বারের মতো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।

সেবারও নিয়োগ বোর্ড গঠন করেননি। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২০ জুন তৃতীয়বারের মতো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

নিয়োগ বোর্ড গঠন করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হয়েছিল। পরীক্ষায় আমি প্রথম হয়েছিলাম। কিন্তু সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক ফল প্রকাশে গড়িমসি করেছিলেন।

তারা আমাকে বলেছিলেন আপনার চাকরি হবে। তবে রেজ্যুলেশন করতে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা লাগবে। শিক্ষা অফিসার ও নিয়োগ বোর্ডের কর্মকর্তারা টাকা ছাড়া রেজ্যুলেশনে স্বাক্ষর করবেন না।

টাকা দেয়ার কিছু দিন পর জানতে পারলাম, ওই পদে চিন্তা সেন নাম একজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক দুই দফায় আমার কাছ থেকে সাড়ে আট লাখ টাকা নিলেও চাকরি দেননি।

তাদের কাছে টাকা ফেরত চাইলে টালবাহানা করতে থাকেন। সর্বশেষ তারা টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। কিন্তু চাকরির জন্য টাকা দেয়ার সময় সাক্ষী ছিলেন সভাপতি অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেনের ছোট ভাই ফেরদৌস, নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মোমিন উদ্দিন, নজরুল ইসলাম, এলাকার আনোয়ার হোসেন ও মিজানুর রহমান।

জমি বিক্রি করে চাকরির আশায় সাড়ে আট লাখ টাকা দিয়ে এখন অসহায় জীবনযাপন করছি।

বর্তমানে আমার বাবা ও ছেলে প্রচণ্ড অসুস্থ। তাদের চিকিৎসা করাতে পারছি না। টাকা ফেরত পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এসএম আকরাম হোসেন, সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক অশোক কুমার বোস, যুগ্ম আহ্বায়ক মাযহারুল ইসলাম, সদস্য ফারুক হোসেন প্রমুখ।


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা