বাংলাদেশ, , রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

হীরকজয়ন্তীকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার কলেজে শিবিরের হামলা,আহত-০২

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০২৩-০২-১৫ ১৮:৫৬:০৬  

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি:
কক্সবাজার সরকারি কলেজে দুই শিক্ষার্থীর উপর হামলা চালিয়েছে শিবির কর্মীরা। ১৫ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। পরে ছাত্রলীগের ধাওয়ার মুখে ক্যাম্পাস ছেড়ে পালিয়ে যায় শিবির কর্মীরা। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরে কলেজ শিক্ষক মুফিদুল আলম ও মাহমুদউল্লাহ গিয়ে পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
আহতরা হলেন, এইচএসসি বিজ্ঞান শেষ বর্ষের ছাত্র শিবলু এবং বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র আরফাত।
জানা যায়, ৮০’দশকের কক্সবাজার সরকারি কলেজে একছত্র আধিপত্য নেয় শিবির। সর্বশেষ ২০১৪ সালের শেষের দিকে ক্যাম্পাসে শিবিরের একক আধিপত্য শেষ হয়। কিন্তু বারবার ক্যাম্পাস দখলে নিতে সুযোগ খোঁজতে থাকে তারা। শেষ পর্যন্ত হীরকজয়ন্তীর ব্যানারে ক্যাম্পাস দখলে নিতে পরিকল্পনা এঁটেছে তারা। অভিযোগ উঠেছে হীরকজয়ন্তী বাস্তবায়ন কমিটিও সাবেক শিবির নেতাদের করা নীলনকশা।
কলেজ শিক্ষার্থীরা হীরকজয়ন্তী কমিটির নানা আর্থিক অনিয়ম এবং কলেজ শিক্ষার্থীদেরও রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছেনা দাবি করে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন, মিছিলসহ কলেজ অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি দিয়ে প্রতিবাদ শুরু করে। এরই মধ্যে আন্দলোনে যুক্ত থাকার অভিযোগে শিবলু ও আরফাতকে মারধর করে একদল শিবির কর্মী। কলেজ শিবিরের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে এ হামলা হয় বলে জানিয়েছেন আহতরা।
আহত শিক্ষার্থী শিবলু ও আরফাত বলেন, বেলা বারোটার দিকে শিবির সেক্রেটারি এসে কলেজে কেন আন্দোলন করছি তা জানতে চেয়ে আমাদের উপর হামলা শুরু করে। হামলায় আমরা আহত। পরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এগিয়ে এসে আমাদের উদ্ধার করে।
কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক রাজিবুল ইসলাম জানান, কক্সবাজার সকারি কলেজ ক্যাম্পাস দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে শিবির। সম্প্রতি কথিত হীরকজয়ন্তীর ব্যানারে শিবিরের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে নিয়মিত আসা যাওয়া শুরু করে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে অপচেষ্টা করায় ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ শুরু করে কলেজ শিক্ষার্থীরা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিবির সেক্রেটারি আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র ক্যাডার সাধারণ শিক্ষার্থীর উপর হামলা চালিয়েছে।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এগিয়ে না আসলে আজ বড় ধরনের সংঘাত হতে পারতো। এ বিষয়ে আমরা অধ্যক্ষের সাথে কথা বলেছি।
কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক আবরার সাকিব বলেন, ক্যাম্পাস দখলে নিতে শিবিরের যে অপচেষ্টা আজ ছিল তার মহড়া। যদি এখনই দলের শীর্ষ নেতারা পদক্ষেপ না নেন তবে এর মাশুল দিতে হবে ছাত্রলীগকে।
জানতে চাইলে কলেজ অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন বলেন, মারামারির বিষয়টি কেউ আমাকে অবগত করে নি।
তবে, ঘটনাস্থলে উপস্থিত শিক্ষক মাহমুদউল্লাহ বলেন, হীরকজয়ন্তী নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে বাকবিতণ্ডা হয়েছে। পরে সমাধান করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা