বাংলাদেশ, , শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

রাজবাড়ীতে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হয়রানি মুলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০২৩-০২-০৪ ১৭:১১:৫৮  

জাতীয় দৈনিক সংবাদ সারাবেলা, ইংরেজি দি ডেইলি ট্রাইবুনাল ও বাংলাদেশ পেপারের জেলা প্রতিনিধি রাকিবুল ইসলাম রাফির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন ইদ্রিস আলী (২৬) নামে একব্যক্তি। সে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের বিল্লাল প্রামাণিকের ছেলে।

গত ২০২১ সালের ডিসেম্বরে রাজবাড়ী আদালতে ৪০৬/৪২০ ধারায় মামলাটি দায়ের করে সে। যার মামলা নং সিআর-৭৩৮/২১।

উক্ত মামলায় উল্লেখ করা হয়, সাংবাদিক রাকিবুল ইসলাম রাফি ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর তার ২য় স্ত্রীর পিতা দেলবর বিশ্বাস সহ আরো চারজনকে সাক্ষী করে সৌদি আরব পাঠানোর নাম করে বাদী ইদ্রিস আলীর নিকট থেকে  ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ করে এবং বাকি ১ লক্ষ টাকা ফ্লাইটের সময় দিতে হবে এমন শর্তে ৩ টি ১০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করেন। সেখানে উল্লেখ করা হয় আগামী ৬ মাসের মধ্যে বাদী ইদ্রিস আলীকে বিদেশে পাঠাতে হবে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পার হলেও যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় রাফি। এরপর বিষয়টি নিয়ে রাফির বসতবাড়ীতে স্থানীয় ব্যক্তিদের নিয়ে একাধিকবার সালিশ করা হলেও প্রতিকার মেলেনি।

তবে মামলায় থাকা অভিযোগের বিষয়ে সরেজমিনে গেলে মেলে ভিন্ন তথ্য। মামলার বাদী ইদ্রিস আলী ছিলেন সাংবাদিক রাফির মাছপাড়া ইউনিয়নের সোর্স। কিন্তু ইদ্রিস মাদকসেবি থাকার কারণে রাফি একাধিকবার তাকে সতর্ক করলেও তাতে ফল মেলেনি। পরবর্তীতে ইদ্রিস একটি মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়ে তার অন্তরঙ্গ ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করলে বিষয়টি রাফি জানার পর ইদ্রিসকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করতে চায়। যে কারণেই রাফির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছেন ইদ্রিস আলী। এছাড়াও ইদ্রিস আলীর জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুযায়ী তথ্য নিয়ে জানা যায় ইদ্রিস আলী কখনো পাসপোর্ট করেননি।

এছাড়াও সরেজমিনে ঘুরে জানা যায় মামলায় উল্লেখিত ২য় স্ত্রীর পিতার বিষয়টি মিথ্যে ও ভুয়া। এবিষয়ে দেলবর বিশ্বাসের বাড়ীতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। রাফির বসতবাড়ী ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজমল আল বাহারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি যতোটুকু জানি রাকিবুল ইসলাম রাফিকে যে মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে সেই মামলার অভিযোগ সত্য না। রাফির বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত আমি এমন কোনো বিষয়ে কোনো প্রকার অভিযোগ পায়নি কিংবা আমার ইউনিয়নের কোথাও রাফিকে নিয়ে ২০২১ সাল নয় শুধু কোনো বছরেই সালিশ বিচার হয়নি।

হয়রানিমুলক মামলা দাবী করে সাংবাদিক রাকিবুল ইসলাম রাফি বলেন, সংবাদ সংগ্রহ আর আইনের কাছে দোষীকে দেখাতে যেয়েই মিথ্যা মামলার আসামি হয়েছি। এই ধরনের মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার কলম দমানো যাবে না। সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে কলমযুদ্ধ অব্যাহত থাকবে।

পাংশা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম রাসেল কবির বলেন, সাংবাদিক রাকিবুল ইসলাম রাফি দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে সাংবাদিকতা করে আসছে। সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এমন হয়রানিমুলক মামলা আমাদের হতাশ করেছে। আমি আশাবাদী সে ন্যায়বিচার পাবে।

পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরিদ হাসান ওদুদ বলেন, আমি রাকিবুল ইসলাম রাফিকে দীর্ঘদিন ধরে চিনি। তবে এপর্যন্ত তার ব্যাপারে কোনো প্রকার অনৈতিক কর্মকাণ্ড কিংবা প্রতারণার কোনো অভিযোগ আমি কিংবা আমার উপজেলার কোনো দপ্তরের কর্মকর্তারাও পায়নি। আমি মনে করি তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলাটি দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে সবার আগে সুষ্ঠু তদন্ত প্রয়োজন।


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা