
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রোহিঙ্গা শিবিররগুলোতে অপহরণসহ অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধির বিষয়টি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে রয়েছে দাবি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক চুরি, ডাকাতি, খুন-গুম, অপহরণ-মুক্তিপণ আর মাদকের মতো অপরাধ কোনভাবেই করতে দেয়া হবে না। এসব অপরাধ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের শহীদ এটিএম জাফর মিলনায়তনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২৬ তম সভা শুরু হয়। বেলা ১২টার দিকে বৈঠক থেকে বের হন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।
সদ্য প্রকাশিত নতুন করে ২৫৫ জন ইয়াবাকারবারিদের তালিকা নিয়ে বেশ হইচই চলছে কক্সবাজারে। যেখানে উঠে আসে কক্সবাজারের সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিকসহ অনেকের নাম। আর এই তালিকা নিয়েই প্রশ্ন করা হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে।
মন্ত্রী বলেন, ইয়াবা কারবারিদের নতুন যে তালিকা হয়েছে তা যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তালিকা হলেই অপরাধী তা কিন্তু নয়।আমরা যাচাই-বাছাই করছি। যদি সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বৈঠকে বিগত ২৫তম সবার কার্যবিবরণী নিশ্চিতকরণ, সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদক চোরাচালান রোধকল্পে বিস্তারিত আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সেন্টমার্টিন দ্বীপসহ এ অঞ্চলের সীমান্ত এলাকায় বিজিবি এবং কোস্ট গার্ডের কার্যক্রমের উপর বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজির আহমদ এমপির সভাপতিত্বে সদস্য সংসদ সদস্য মো. আফছারুল আমীন, মো. হাবিবর রহমান, সামছুল আলম দুদু, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পীর ফজলুর রহমান, নূর মোহাম্মদ, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ ও বেগম রুমানা আলী, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরানসহ শৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন বিভাগের প্রধান ও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজার আসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শনিবার দুপুরে তিনি শাহপরীরদ্বীপ সংলগ্ন সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। একইদিন (শুক্রবার) বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্যরা ৩৪ বিজিবির অধীনস্থ বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তের ফ্রেন্ডশিপ লালব্রীজ এলাকা পরিদর্শন করেন।
বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন কমিটির সদস্যরা।