কক্সবাজারের শীর্ষ সন্ত্রাসী সিফাত ও আরফাত ভ্রাতৃদ্বয় নি’হত

প্রকাশিত: ১২:৪৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৯, ২০১৫

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

 আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ লাশ দুইটি উদ্ধার করে।

 

কক্সবাজারের রামু উপজেলায় দু’দল সন্ত্রাসীর মধ্যে সংঘর্ষে সিফাত ও আরাফাত নামে সন্ত্রাসী দুই ভাই নিহত হয়েছেন।

তারা হলেন-শহরের পাহাড়তলীর হালিমা পাড়ার মোহাম্মদ আলমের ছেলে জাহেদুল আলম ওরফে সিফাত (২৮) ও তার ভাই শহীদুল আলম ওরফে আরাফাত (২০)। তারা দুজনই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী।

নিহত সিফাতের বিরুদ্ধের কক্সবাজার সদর থানায়, হত্যা, ডাকাতি, নারী নির্যাতনসহ ২২টি এবং আরাফাতের বিরুদ্ধে ২০টি মামলা রয়েছে।

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মিনহাজ মাহমুদ ভূঁইয়া জানান, স্থানীয়দের দেওয়া সংবাদে ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের হিমছড়ি ঢালা থেকে দুই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছি। ঘটনার কারণ সম্পর্কে কেউ কিছু জানাতে পারেননি। তবে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি আসলাম জানান, অভ্যন্তরীণ বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে তারা গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, কক্সবাজার শহরে এই দুই ভাই গড়ে তুলেছিলেন দুইটি পৃথক সন্ত্রাসী বাহিনী। দুই সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে জিম্মি ছিল কক্সবাজার শহরতলীর লক্ষাধিক মানুষ। দুই বাহিনীর অর্ধ শতাধিক সন্ত্রাসী শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজনকে অপহরণ করে পাহাড়ে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়, মানুষের ঘরবাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে চাঁদা আদায়, জমি দখল করে হাতিয়ে নিতেন লাখ লাখ টাকা।

এলাকাবাসী জানায়, সিফাত ও আরাফাত বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন তারা দুই ভাই। তাদের নেতৃত্বে কক্সবাজার শহরতলীর অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী পাহাড়তলী, সাত্তারঘোনা, লাইট হাউস, লারপাড়া, সিটি কলেজ এলাকা, বৈদ্যেরঘোনা, ঘোনারপাড়া, খাজা মঞ্জিল এবং কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা নিয়ন্ত্রিত হয়ে আসছিল।

মু/হ