

অষ্টমী পেরিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গোৎসবের ৪র্থ দিন (০৪ অক্টোবর) মহা নবমী। চন্দ্রের নবমী তিথিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পালন করেছেন মহা নবমী কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজা।
দেবীকে প্রাণভরে দেখবেন ভক্তকুল। মহা নবমীর এই দিনে প্রথা মেনে মণ্ডপে মণ্ডপে নবমীর বিশেষ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। একই সঙ্গে দেবী দর্শনের মধ্য দিয়ে পার করেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।পুরোহিতদের মতে, দুর্গোৎসবের মহানবমীতে ভক্তদের দেওয়া ষোড়শ উপাচারের সঙ্গে ১০৮টি নীলপদ্মে পূজিত হন দেবী দুর্গা। এ ছাড়া আজ নীলকণ্ঠ, নীল অপরাজিতা ফুল ও যজ্ঞের মাধ্যমে মহা নবমীর বিহিত পূজা হবে। এ দিন নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মহা নবমীর পূজা শেষে যথারীতি দেবীর চরণে অঞ্জলি দেন ভক্তরা।
নবমী তিথিতে দেবী দুর্গার আরাধনা হয় দেবী সিদ্ধিদাত্রী রূপে। দেবী সিদ্ধিদাত্রীর রূপ ঐশ্বরিক। তিনি পার্থিব আকাঙ্ক্ষা পূরণ করেন এবং অজ্ঞতা দূর করেন।
জানা যায়, মহা নবমীর দিনে যজ্ঞের মাধ্যমে দেবীদুর্গার কাছে আহুতি দেওয়া হবে। ১০৮টি বেল পাতা, আম কাঠ, ঘি দিয়ে এই যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হবে।
সনাতন ধর্মমতে, নবমীর পুণ্য তিথিতে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে বিশ্বে শুভ শক্তির প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন দেবীদুর্গা। দেবী দুর্গার হাতে বধ হয়েছিল মহিষাসুর, আর রাম বধ করেছিলেন রাবণকে। পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গাপূজার অন্তিম দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয় মহা নবমীকে। তাই নবমীর রাতে মণ্ডপে মণ্ডপে বাজতে থাকে বিদায়ের সুর।
আগামীকাল বিজয়া দশমীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দেবীদূর্গাকে বিদায় জানাবেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। তারপর থেকে শুরুর পরের বছরের অপেক্ষা।
পাংশা উপজেলায় এবার ১১৩ টি পুজা মন্ডপে পুজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সব মণ্ডপে শারদীয় উৎসব নির্বিঘ্নে উদযাপন করার জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি প্রতিটি পূজা উদযাপন কমিটিও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি করা হয়েছে মণ্ডপ পাহারার জন্য।
সকাল ৮ টা থেকে শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে পাংশা উপজেলার সরিষা, কসবামাজাইল ও পাট্টা সহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে বিভিন্ন সর্বজনীন দুর্গ মন্দির পরিদর্শন করছেন পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান ও পাংশা মডেল থানার একটি চৌকস পুলিশ টিম।
পুজা পরিদর্শনকালে তার সাথে ছিলেন সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ ৷
মূলত নবমীই পূজার শেষ দিন। আগামীকাল বিজয়া দশমী, প্রতিমা বিসর্জনে শেষ হবে শারদীয় দুর্গোৎসব।