

খুলনার দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশায় নিখোঁজ আলোচিত রহিমা বেগমকে (৫২) জীবিত অবস্থায় ফরিদপুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রহিমা বেগমের মেয়ে মরিয়ম মান্নান প্রায় এক মাস ধরে তার সন্ধান করছিলেন। এ নিয়ে ফেসবুকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পোস্ট দিয়েছেন তিনি।
মরিয়ম মান্নান দাবি করছিলেন, তার মাকে অপহরণ করা হয়েছিল। শুক্রবার মায়ের মরদেহ পাওয়ার কথাও জানান তিনি৷
তবে রহিমা বেগমকে উদ্ধারের পর পুলিশ বলছে, রহিমা বেগম নিজেই স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন।
মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা খুলনার দৌলতপুর থানার এসআই লুৎফুল হায়দার তাকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার এস আই আব্দুল হক জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের জনৈক কুদ্দুস মোল্লার নামে এক ব্যক্তির বাড়ি খেকে রহিমাকে উদ্ধার করা হয়। কুদ্দুস মোল্লা সোনালী জুট মিলে চাকুরি করার সময় রহিমা খাতুনের মহেশ্বরপাশার বাড়িতে ভাড়া ছিলেন। তাকে উদ্ধারের পর খুলনায় পাঠানো হচ্ছে।
এর আগে গত শুক্রবার ময়মনসিংহে ১২ দিন আগে উদ্ধার করা একটি মরদেহকে নিজের মায়ের বলে দাবি করেছিলেন মরিয়ম মান্নানসহ রহিমা বেগমের তিন মেয়ে।
খুলনার দৌলতপুর মহেশ্বরপাশার বণিকপাড়া থেকে গত ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিখোঁজ হন রহিমা। সেসময় রহিমার দ্বিতীয় স্বামী বিল্লাল হাওলাদার ওই বাড়িতে ছিলেন। পানি আনতে বাসা থেকে নিচে নেমেছিলেন রহিমা। দীর্ঘ সময় পরও তার খোঁজ না পাওয়ায় ঘটনার দিন রাত সোয়া ২টায় দৌলতপুর থানায় অপহরণ মামলা করেন তার মেয়ে আদুরী। রহিমার ছেলে মো. মিরাজ আল সাদী দৌলতপুর থানায় পরদিন সাধারণ ডায়েরি করেন।