চিরকুট লিখে চকরিয়া সাব রেজিস্ট্রার অফিসের মোহরার দূর্জয় পালের আ ত্ম হ ত্যা!

প্রকাশিত: ১০:৩৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২

মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া:

কক্সবাজার জেলার চকরিয়া সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের প্রধান সহকারীসহ অন্যান্য সহকর্মীদের মানসিক নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে বিষপান করা একই অফিসের মোহরার দূর্জয় কান্তি পাল মারা গেছেন। আজ ২৩ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৪ টায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন তিনি।

এদিকে তার বিষপানের জন্য দায়ী এবং বিভিন্ন সময় অফিসে মানসিক নির্যাতনের জন্য চকরিয়া সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের প্রধান সহকারী নিবাস কান্তি পাল, মোহরার লিটন পাল, অফিস সহায়ক নাছির উদ্দিনকে দায়ী করে একটি চিরকুট লিখে গেছে বলে দূর্জয় পালের স্ত্রী দাবী করেছেন।

দূর্জয় পালের স্ত্রী শিল্পী বলেন, আমার স্বামীকে দীর্ঘদিন ধরে নিবাস পাল, লিটন, নাছিরসহ অফিসের কতিপয় সহকর্মীরা মানিসকভাবে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিল। তারা আমার স্বামীকে তার কাজের বাইরেও অতিরিক্ত কাজ করাতো। কাজ পারে না বলে  নাজেহাল করতো। তার শরীর থেকে গন্ধ উঠতো বলে ছোট করতো। এমনকি তাকে বস্তাভরে মেরে ফেলে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিল। এসব নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত (২১ সেপ্টেম্বর) বুধবার রাতে আমার স্বামী বিষপান করে আত্মহত্যার চেস্টা করে। সে খুরুশকুলের গুচ্ছগ্রাম এলাকায় গিয়ে বিষপান করে। পরে তাকে উদ্ধার করে এনে হাসপাতালে এনে চিকিৎসা করা অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে। এ সময় দূর্জয় পালের স্ত্রী  নিবাস পাল সহ অন্যান্য দোষী ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন।

দূর্জয় কান্তি পালের বড় ভাই বাবুল পাল বলেন, আমার ভাইকে নিবাস মানসিক নির্যাতন করতো সেটা আমাদের অনেকবার বলেছে। আমি সে বিষয়ে নিবাসকে ফোনও করেছিলাম। মূলত তারা খুবই পরিকল্পিত ভাবে দূর্জয় কে ছোট করতো। দূর্জয় একটি চিরকুটে সব লিখে গেছেন।

দুর্জয়ের শ্যালক সুমন মল্লিক বলেন, আমার ভগ্নিপতিকে নানাভাবে মানসিক টর্চার করে মৃত্যুর পথে ঠেলে দিয়েছে নিবাস গং। আমরা মামলা করবো এবং খুনিদের বিচার চাইবো।

অভিযোগের ব্যাপারে চকরিয়া সাব রেজিস্ট্রার অফিসের প্রধান সহকারী নিবাস কান্তি পালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দূর্জয় কান্তি পাল আমার আত্মীয় হয়। তাকে মানসিক নির্যাতনের প্রশ্নই আসেনা। আমি শুধু অফিসের দায়িত্ব পালন করার জন্য সব সময় বলেছি।

চকরিয়া উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অমিত মন্ডল চাকমা বলেন, তার অফিসে মানসিকভাবে নির্যাতনের কোন ঘটনা জানা নেই। তাছাড়া কোন সমস্যা হলে আমাকে জানাতে পারতো।

নিহত দূর্জয় পালের লাশ বর্তমানে হাসপাতালের মর্গে আছে।

উল্লেখ্য দূর্জয় পাল কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের পালপাড়ার মধুরাম পাল ও মনাসারানী পালের ছেলে। বর্তমানে শহরের বিজিবি ক্যাম্প এলাকায় থাকে। তার ১ মেয়ে ও ১ ছেলে রয়েছে তারা উভয়ে শহরের বর্ডার গার্ড স্কুলে পড়ে।