বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০২২-০৯-১৩ ১৫:৪২:১১  

রাজবাড়ীর পাংশায় এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থআত্মসাৎ, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের ৮৯ নং ধানুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউনুস আলীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হয়েছে।

প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন বিদ্যালয়ের সভাপতি আহসান হাবিব ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যরা। গত ০৮ সেপ্টেম্বর তারা এই অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগের অনুলিপি উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, দুর্নীতি দমন কমিশন ফরিদপুর ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর পাঠানো হয়েছে।

সভাপতি আহসান হাবিবের করা লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার ৮৯নং ধানুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউনুস আলী বিদ্যালয়ের জমিদাতা বর্তমান সভাপতির বাবাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পরামর্শ ও মতামত না নিয়ে বিদ্যালয়ের টাকা দিয়ে যেনতেনভাবে কাজ করে সম্পূর্ণ টাকা খরচের হিসাব দিয়ে অবশিষ্ট টাকা আত্মসাৎ করেন।

এছাড়া বিদ্যালয়ের পানির ট্যাঙ্কি এবং পানির পাম্প নিজ বাড়িতে স্থাপনের মাধ্যমে তা আত্মসাৎ করেন। বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেন। নতুন কমিটি অনুমোদন না পেলেও সেই কমিটি দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনার অপচেষ্টা চালান। এছাড়াও বিদ্যালয়ের জমি পরিমাপ করে বিদ্যালয়ে থাকা অতিরিক্ত ২লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ৩.৩২ শতাংশ জমি নিজের নামে নামপত্তন করে নেন। এছাড়াও উক্ত জমিতে থাকা ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ১৫টি মেহগনি গাছ বিক্রি করে তার অর্থ আত্মসাৎ করেন।

এব্যাপারে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ইউনুস আলী বলেন, গত ২২ জুন থেকে নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে বর্তমান কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করায় পর বর্তমান সভাপতি বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে কমিটির অন্যান্য সদস্যদের ভুল বুঝিয়ে আমার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। বিষয়টি তদন্ত হলে প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কে,এম নজরুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ে ফাঁকি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ওই প্রধান শিক্ষককের বিরুদ্ধ যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরিদ হাসান ওদুদ বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা