পাংশায় জমি নিয়ে বিরোধে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

প্রকাশিত: ৯:২২ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের ধানুরিয়া গ্রামে আপন ভাই ও ভাতিজাকে হত্যার হুমকি প্রদানে অভিযুক্ত করা সহ বেশ কয়েকটি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, ধানুরিয়া গ্রামের ধানুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৃত হাতেম মন্ডলের ছেলে ইউনুচ আলী তার ভাই আহসান হাবিব ও ভাতিজা পলাশের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত বাড়ির জমি বন্টন নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে হত্যার হুমকি প্রদান সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ এনে মামলা করেন। এছাড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। আসামিদের অধিকাংশই আর্থিক ভাবে দুর্বল। থানা পুলিশের ভয়ে তারা স্বাভাবিকভাকে কাজকর্মও করতে পারছেন না বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

মামলায় অভিযুক্ত আহসান হাবিব বলেন, মামলার বাদী ইউনুচ আলী বিভিন্ন সময় আমার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলার চালাতেন। তার বিরুদ্ধে ২০১০ ও ২০১৭ সালে পাংশা থানায় অভিযোগ করি। সে এই জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে আমার বাবা মৃত হাতেম মন্ডলকেও নামাযরত অবস্থায় হামলার চেষ্টা করে। বাবার মৃত্যুর পর আমার বড় ভাই ইউনুস বাড়ির দাগের আমাদের ২৭ শতাংশ জমি অতিরিক্ত দখল করে রেখেছে। জমি বিক্রির সাড়ে আট লক্ষ টাকা নিজেই নিয়েছেন। এই টাকার হিসেব ও আমাদের ২৭ শতাংশ জমি ফেরত চাইতে গেলে নতুন করে সে মিথ্যা মামলা ও থানায় অভিযোগের মাধ্যমে হয়রানির চেষ্টা করেন।

তিনি আরও বলেন, সে ব্যক্তি আক্রোশে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন যা ইতোমধ্যে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় সচেতনমহলের ব্যক্তিবর্গ অবগত আছেন। সে যখন স্থানীয় সন্ত্রাসী দ্বারা আমাকে ও আমার পরিবারকে বিভিন্ন হুমকি প্রদান করছিল তখন আমি বাধ্য হয়ে বাঁচার দাগিতে রাজবাড়ী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করি গত ২৯ জুলাই ২০২২ তারিখে। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, এসকল ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি ইউনুচ আলী মন্ডল।

তবে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায় ইউনুচ আলী ও তার ভাই আহসান হাবিবের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।

আহসান হাবিব ও তার ছেলে পলাশের বিরুদ্ধে ইউনুচ আলীর করা অভিযোগ ও মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলিমহর ইউনিয়নের বিট অফিসার এস আই তারিকুল ইসলাম।