

ডেস্ক নিউজঃ
পরকীয়া প্রেমে স্ত্রীর হাতেনাতে ধরা পড়ে চকবাজার থানার কম্পিউটার অপারেটর শহিদুল ইসলাম তুহিন (৩৫)। নিজের দোষ লুকাতে স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন।
বিয়ের ১৪ বছর পর স্ত্রীর কাছ থেকে যৌতুক দাবিসহ বন্ধ করে দেন ঘরের বাজার-সদাই।
পরকীয়া প্রেমে মজে সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া শিশু সন্তানের পড়ালেখার খরচও বন্ধ করে দেন তুহিন। এমন অমানুষিক নির্যাতন সইতে না পেরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) সদর দপ্তরে অভিযোগের পর নগরের খুলশী থানায় মামলা দায়ের করেন স্ত্রী। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এ পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর আদালতে হাজির করলে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হালিমের আদালত শুনানি শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পুলিশের প্রসিকিউশন শাখা সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ সদস্য শহিদুল ইসলাম তুহিনের পক্ষ থেকে জামিন আবেদন করা হলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
শহিদুল ইসলাম তুহিন কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার নবীয়াবাদ সরকার বাড়ির মৃত আব্দুল হান্নান মিয়ার ছেলে। বর্তমানে নগরের খুলশী থানাধীন নাসিরাবাদ সিএন্ডবি কলোনি সরকারি কোয়ার্টারে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করেন। তিনি সিএমপি দক্ষিণ বিভাগের চকবাজার থানায় কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
মামলার এজহারে তুহিনের স্ত্রী অভিযোগ করেন, ২০০৮ সালে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক বিয়ের পর থেকে তারা চট্টগ্রাম নগরে বসবাস করেন। এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে তাদের সংসার।