ঘুসকাণ্ড: কক্সবাজারে ৯ সার্ভেয়ার বদলি

প্রকাশিত: ৮:৩৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৯, ২০২২

জসিম উদ্দিন, কক্সবাজারঃ 

২৩ লাখ ৬৩ হাজার টাকাসহ কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সার্ভেয়ার আতিকুর রহমান ঢাকায় দুদকের হাতে আটকের পর আবারো আলোচনায় আসে এলএ শাখার দুর্নীতি। প্রশাসনের সুনাম ধরে রাখতে এবার একযোগে ৯ সার্ভেয়ারকে বদলি করা হয়েছে।

আগামী ২৪ জুলাইয়ের মধ্যে বর্তমান কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত হয়ে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় ২৫ জুলাই তাদের স্ট্যান্ড রিলিজ করা হবে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ সার্ভেয়ার বদলির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

জেলা প্রশাসন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বদলি হওয়া সার্ভেয়ার মো. সাইফুল ইসলামকে ফেনী পরশুরাম উপজেলা ভূমি অফিসে, দুলাল খানকে রাঙামাটির কাপ্তাই, মো. ইব্রাহিম ফয়সালকে বান্দরবান সদর ভূমি অফিসে, মীর্জা মোহাম্মদ নুরে আলমকে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া আখাউড়া, হযরত আলীকে নোয়াখালীর হাতিয়ায়, মো. আব্দুল কাইয়ুমকে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে, মো. শরিফুল ইসলামকে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে, জিয়াউর রহমানকে বান্দবানের আলীকদমে এবং মোহাম্মদ নুর উদ্দিন আলমকে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা ভূমি অফিসে পদায়ন করা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় বিভিন্ন সময় অভিযোগ ছিল। আতিক গ্রেফতার হওয়ার পূর্বেও অনেক সার্ভেয়ার গ্রেফতার হয়েছিল। সবকিছু মিলে জেলা প্রশাসনের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। তাই সুনাম ধরে রাখতে জেলা প্রশাসক নিজেই তকদের বদলি চেয়েছেন।

এদিকে এল শাখায় কাজ করা অনেকে জানিয়েছেন, ১০ থেকে ২০ শতাংশ কমিশন ছাড়া এলএ শাখায় কোনো কাজ হয়নি। বর্তমানে বদলি হওয়া সার্ভেয়ার অনেকের কাছে কমিশনের আগাম টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ অবস্থায় ভোগান্তিতে পড়তে হবে কমিশন বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িতরা।

জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, এলএ শাখার সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠায় তাদের বদলি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন সব সময় সরকারের হয়ে জনকল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। কিছু অসাধু কর্মকর্তার কারণে প্রশাসনের সুনাম ক্ষুন্ন হতে পারে না।