ডেস্ক নিউজঃ
শায়েস্তা খাঁর আমলে টাকায় ৮ মণ চাল বা ৩ টাকায় একটি গরু কেনা গেলেও সে সময় ১ টাকা যোগাড় করাও ছিল কষ্ঠসাধ্য ব্যাপার।
কিন্তু ৩০ বছর আগে যে খাবারের দাম ছিল ১ টাকা তা যদি এখনও এই দামেই মেলে তবে তা সস্তাই বটে। নামমাত্র মূল্য বললেও অত্যুক্তি হবে না।
এমনই নামমাত্র মূলে খাবার বিক্রি করে আসছে ভারতের একটি রেস্তোরাঁ।
রেস্তোরাঁটি দেশটির দক্ষিণের শহর কোইমবাতোরে অবস্থিত। এর মালিক কামালাথাল নামের ৮০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা।
ভারতীয় মূদ্রায় এক টাকার কমে সকালের নাস্তা সরবরাহ করছে এই রেস্তোরাঁ। স্থানীয় খাবার ইডলি ও পিঠা পাওয়া যায় সেখানে। সঙ্গে ডাল ও নারিকেলের চাটনিও দেয়া হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে উঠে এসেছে এসব খবর।
তারা জানায়, একই খাবার ত্রিশ বছর আগেও এই দামেই বিক্রি করতেন কামালাথাল। শুনতে অবাক লাগলেও গত ৩০ বছরে বাড়েনি খাবারের দাম।
তবে কি প্রতিদিনই লোকসান গুণতে হচ্ছে বৃদ্ধা কামালাথালের।
কিন্তু অবাক করে দিয়ে তিনি জানালেন, না প্রতিদিন কমপক্ষে ২০০ রুপি লাভ হয় তার।
যদিও সারাদিনে এ আয়ের পরিমান বলার মতো কিছু নয়। তবুও এতেই সন্তুষ্ট কামালাথাল।
তিনি বলেন, সব কিনতে আমি ৩০০ রুপি খরচ করি। আর প্রতিদিন ২০০ রুপি লাভ করি। এতেই আমি খুশি। কারণ এত কম টাকায় খেতে পেরে সাধারণ মানুষ খুব খুশি হয়। আর তা দেখে আমারও প্রাণ জুড়ায়। দাম বেশি ধরলে হয়ত লাভ আরও অনেক হতো। কিন্তু তাতে মানুষের দোয়া পেতাম না। কাস্টমারও কম হতো।
তিনি আরও বলেন, মানুষকে খাওয়াতে আমার ভাল লাগে। যারা ভালো খাবার খেতে পারে না তাদের আমি খাওয়াতে চাই। তাই খাবারের দাম আর বাড়াইনি।
এ বিষয়ে রেস্তোরাঁর এক নিয়মিত গ্রাহক ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানান, এত কমে খাবার পেয়ে আমরা খুশি। এখান থেকে খেলে দুপুর পর্যন্ত পেট ভরা থাকে। নিম্ম আয়ের লোকজনদের জন্য এই রেস্তোরাঁর বিকল্প নেই।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মুনতাকিম হোছাইন
বার্তা সম্পাদক: ইকবাল হোছাইন
মেইলঃ bangladeshpaper71@gmail.com
অফিসঃ ০১৮৮-৬৬১০৬৬৬ বার্তা প্রধান ০১৮৫৭৬৭১৯৪৩
কপিরাইট আইন,২০০০ © অনুসারে বাংলাদেশ পেপার কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত