বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

বন্যায় সারাদেশে ৩৬ জনের প্রাণহানি

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০২২-০৬-২২ ০০:২৮:১২  

সারা দেশে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এতে লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো বন্যা বিষয়ক এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বন্যার কারণে ডায়রিয়া, সর্প দংশন, পানিতে ডুবে ও আঘাতজনিত কারণসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৭ মে থেকে ২১ জুন পর্যন্ত ময়মনসিংহ বিভাগে ১৫ জন, রংপুর বিভাগে তিন জন এবং সিলেট বিভাগে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

মৃত ৩৬ জনের মধ্যে বজ্রপাতে ১২ জন, সাপের কামড়ে একজন, বন্যার পানিতে ডুবে ১৭ জন এবং অন্যান্য কারণে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। একইসঙ্গে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে ২ হাজার ৯৩৪ জন আক্রান্ত হয়েছে।

সিলেট জেলায় বন্যার পানি কমে গেলে এখনও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। সিলেট ও সুনামগঞ্জে লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনেক অঞ্চল এখনও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, লালমনিরহাটসহ বিভিন্ন জেলার বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে। এসব অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে রয়েছেন। অনেকের ঘরবাড়ি ভেসে গেছে। বন্যা কবলিত মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছেন।

দেশের পূর্ব এবং উত্তরাঞ্চলে বর্তমান বন্যার মূল কারণ অতিবৃষ্টি। দেশের ভেতরে যেমন রেকর্ড বৃষ্টি হচ্ছে, তেমনি এই বানের পানির আরেক উৎস ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতেও অতি ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। এই উভয় ক্ষেত্রেই বর্ষণ অতীতের রেকর্ড ভেঙেছে।

এর মধ্যে ভারতের মেঘালয়ে ১২২ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে এবারের বৃষ্টি। আর সিলেটে রোববার যে বৃষ্টি হয়েছে তা গত ২১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। মূলত হাওড় যেমন এই বাড়তি পানি ধারণ করতে পারেনি, তেমনি আপার মেঘনা অববাহিকার নদ-নদীগুলোও তা নিষ্কাশন করতে পারেনি। ফলে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াল বন্যা। যা এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে যে, কোনো কোনো নদীতে পানির উচ্চতা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে।

এর মধ্যে সিলেট অঞ্চলের প্রধান নদী সুরমা সুনামগঞ্জের দিরাই পয়েন্টে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে। এর আগে এই পয়েন্টে পানির সর্বোচ্চ উচ্চতা ছিল ৭.২৯ মিটার। কিন্তু রোববার ও সোমবার পরপর দুদিনই এর ওপরে প্রবাহিত হয়েছিল। প্রথম দিন এটি প্রবাহিত হয় ৭.৬৩ মিটারে আর সোমবার ৭.৪৭ মিটার।


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা