বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০২২-০৬-১২ ২২:৪৪:৪৫  

কক্সবাজার জেলা থেকে প্রকাশিত দৈনিক কক্সবাজার বার্তা, দৈনিক রূপসী গ্রাম, দৈনিক কক্সবাজার, দৈনিক দৈনন্দিন, দৈনিক সৈকতসহ কিছু পত্রিকায় জেলা ছাত্রলীগকে জড়িয়ে প্রকাশিত সংবাদের আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রিকায় বিভিন্ন শিরোনামে রবিবার (১২ জুন) বাঁকখালী নদী দখল নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদে আমার নেতৃত্বে বাঁকখালী নদীর প্যারাবন কেটে নদী দখলের কাল্পনিক গল্প প্রচার করা হয়েছে। প্যারাবন ধ্বংসের বিষয়টি শুধু হাস্যকর নয়, পাগলের প্রলাপও বটে। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি- কস্তুরাঘাট এলাকায় আমার দখলে এক টুকরো জমি আছে সেটি প্রমাণ করতে পারলে আমি প্রশাসনিক ও আইনানুগ শাস্তি মাথা পেতে নিবো। মূলত এখানে দখলবাজ ও অপরাধীকে আড়াল করতে উদর পিন্ডি ভুতের গাড়ের মতো মিথ্যা অপপ্রচার করা হয়েছে।

সংবাদটি পড়লে মনে পড়ে হলুদ সাংবাদিকতার কথা। তবে এটিও সত্য যে পড়ালেখা না করা যুবকদের হাতে মহৎ পেশাটি ধর্ষিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এটি তারই একটি কুফল। প্রকৃত পক্ষে আমরা ছাত্রলীগই শুরু থেকে বাঁকখালী নদী রক্ষার জন্য দাবি জানিয়ে আসছি। সাধ্যমতো সমাজের অসহায়, দরিদ্র মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। আমরা অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে- আমাদের করা হাজারো ভাল কাজ কখনো সংবাদের শিরোনাম হতে পারেনি। এটিও সত্য যে, এক শ্রেণীর লোকের কাছে ছাত্রলীগ বললেই এলার্জি হয়। এতে আমরা কখনো বিচলিত নই। আমরা কখনো প্রশংসার মুখাপেক্ষী নই। আমরা কাজে বিশ্বাসী।

১১ জুন কস্তুরা ঘাট এলাকায় প্রকৃত কি ঘটনা ঘটেছে তা আপনাদের জানানো জরুরি। চিলে কান নিয়েছে তাই আপনারা ও অজ্ঞ লোকের মতো অপপ্রচার করে গেলেন। যেটি অত্যন্ত দুঃখের বিষয়। প্রকৃত বিষয় হচ্ছে- স্থানীয়
খতিয়ানভুক্ত জমির মালিক মঞ্জুর হাজী তার মালিকানাধীন ৭ (সাত) শতক জমি আমাকে বিক্রি করার প্রস্তাব করলে আমি জমির প্রকৃত মালিক মঞ্জুর হাজীর সাথে জমি দেখতে যাই।

উক্ত সময়ে ওমর ফারুক হিরু নামের সাংবাদিক নামধারী এক যুবক টোকাই শ্রেণীর কিছু যুবক নিয়ে মঞ্জুর হাজীর জমিতে বাঁধা প্রদান করে।

একপর্যায়ে মঞ্জুর হাজীর সাথে কথা কাটাকাটির ঘটনাটিকে তিলকে তাল বানিয়ে সাংবাদিকতার ক্ষমতা দেখাতে তিনি (ওমর ফারুক হিরু) তার সহযোদ্ধাদের খবর দিয়ে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসেন। এমন কি কক্সবাজার শহরের চিহ্নিত অপরাধীদের নিয়ে মঞ্জুর হাজীর জমি দখলের অপচেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে তারা বাঁকখালী নদী দখলের অভিযোগ এনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়। প্রকৃত পক্ষে বাঁকখালী নদী যারা দীর্ঘদিন ধরে দখলে রেখেছেন এবং প্যারাবন ধ্বংস করেছেন তাদের একটি তালিকা প্রশাসনের কাছে রয়েছে। সবাই ভাগ ভাটোয়ারা নিয়ে রাতের অন্ধকারে দখল উৎসবে মেতে উঠেন। তালিকা থাকার পরও তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হতে আমরা দেখিনি। এমন কি প্রশাসনও কোন পদক্ষেপ নেয়নি।

অথচ মঞ্জুর হাজী নিজের খতিয়ানভূক্ত জমি দেখাতে গিয়ে প্রকৃত দখলবাজদের রোষানলের শিকার হয়েছেন।
কিছু হলুদ সাংবাদিক প্রকৃত দখলবাজদের কাছ থেকে মাসোহারা পেয়ে দখলবাজীর প্রকৃত সত্য ঘটনাকে আড়াল করে সব দোষ আমার উপর চাপিয়ে দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’কে বলির পাঠা বানানোর অপচেষ্টা করেছেন। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক আমাকে গ্রেফতার করার হুমকি’র মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করা হয়েছে।

পরবর্তীতে আমি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি গ্রেফতার সংক্রান্ত কোন বক্তব্য কোন সাংবাদিককে বলেননি বলে আমাকে জানান। হলুদ সাংবাদিকরা প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে নিজেদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করতে আমাকে ও ছাত্রলীগকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেছে। আমি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে প্রকাশিত সংবাদে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

পরিশেষে হলুদ সাংবাদিকতা পরিহার করে প্রকৃত তথ্যবহুল সংবাদ পরিবেশন করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।

নিবেদক
মারুফ আদনান,

সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কক্সবাজার জেলা শাখা।


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা