বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

৬ ঘন্টা পরেও থামেনি সীতাকুন্ডের আগুন

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০২২-০৬-০৫ ০৪:৪১:৫৯  

বিশেষ প্রতিনিধি :

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে কদমরসুল এলাকায় বিএম ডিপোতে বেসরকারি কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের পর বিস্ফোরণের ঘটনায় বৃদ্ধি পেয়েছে আগুনের তীব্রতা ।

রবিবার (৫ জুন) দিবাগত রাত ৩ টা ৪০ এ প্রতিবেদন লেখা অবধি এখন পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সূত্রপাতের সময় রাত আনুমানিক ১০ টার পর থেকে দীর্ঘ ৬ ঘন্টা ধরে ফায়ার সার্ভিসের ১৬ টি ইউনিট, প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দারা হাল না ছেড়ে কাজ করে যাচ্ছেন লেলিহান শিখা থামানোর।

বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করছেন ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় থাকা জনসাধারণ, এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেককে স্ট্যাটাস দিতে দেখা গেছে।

ঘটনাস্থলে থাকা আরিফুল ইসলাম নামে কদমরসুল এলাকার এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, ” আগুন এখনো থামেনি, সবাই কষ্ট করছে। একমাত্র আল্লাহর রহমতের বৃষ্টি হলে তীব্রতা কমবে, আমরা তাই বৃষ্টির প্রার্থনা করছি।”

এঘটনায় আহতদের মধ্যে দগ্ধ ৫৭ জনকে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের অধিকাংশের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইউনিটের কর্তব্যরত চিকিৎসক।

বার্ন ইউনিটের প্রধান চিকিৎসক রফিক উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যম’কে জানিয়েছেন, বার্ন ইউনিটে ভর্তি করাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশংকাজনক তাঁদের সিএমএইচ হাসপাতালের আইসিইউতে পাঠানো হচ্ছে।

দুর্ঘটনার পর থেকেই চমেক হাসপাতালে চিত্র যুদ্ধকবিলত এলাকার মতো! শুধু চমেক নয়, অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন বাজছে শহরজুড়ে। হাসপাতালের আশপাশ স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে।

নগরের হালিশহরের বাসিন্দা আকিবুল ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, ডিপোতে কাজ করতেন তাঁর এক মামা। তাঁর কোনো খোঁজ এখনো মেলেনি। আকিবুলের মতো অনেকেই ছুটছেন স্বজনের খোঁজে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য অনুযায়ী, রাত দশটার দিকে ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে আগুন লাগে। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। পরে, রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। একটি কনটেইনারে রাসায়নিক থাকায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে।


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা