জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীতা ঘোষণা করলেন জুয়েল

প্রকাশিত: ৮:১৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৬, ২০২২

জেলা আওয়ামী লীগে চরম দুর্বৃত্তায়ন চলছে দাবি করে কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য কায়সারুল হক জুয়েল বলেছেন,

আমার বাবা কখনো কোন অপকর্ম প্রশ্রয় দেন নি। আমিও নিজে কখনো অন্যায় কাজে জড়িত নেই ও ছিলাম না। কখনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দিই নাই, দিবোও না। কিন্তু আজকে চারিদিকে রাজনীতির নাম দিয়ে নানা অপকর্ম চলছে। তাদের অপকর্মগুলো দলের দুর্নাম ও জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশাল অর্জনকে ধুলিস্মাৎ করছে। আমি সেই অনিয়মকে ভাঙ্গতে এবং জেলা আওয়ামীলীগের হারানো ঐতিহ্য ফিরাতে আসন্ন জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে প্রার্থী হয়েছি।

শনিবার (১৬ এপ্রিল) কক্সবাজার শহরের এক অভিজাত রেস্তোঁরায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন।

কয়সারুল হক জুয়েল জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত আমৃত্যু সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা একেএম মোজাম্মেল হকের কনিষ্ঠ সন্তান। তিনি জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

জুয়েল সংবাদ সম্মলনে আরো বলেন, আমি আওয়ামীলীগের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের এই আশ্বাস দিতে চাই, আমি যদি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই কোনদিন দলকে বিক্রি করবো না। মনোনয়ন বাণিজ্য করব না, দখলবাজী করব না, কমিটি ও পদ বিক্রি করবো না। এক কথায় দলের সুনাম নষ্ট হয় এমন কোন কাজে লিপ্ত হবো না।

দলের স্বার্থে রাজনীতি করতে গিয়ে ১/১১ এর সময় গ্রেফতার হয়ে নির্মম শারিরীক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। দীর্ঘ ৯ মাস জেল খেটেছি তবুও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সাথে বেঈমানী করিনি। আপোষ করি নি অন্যায়ের সাথে।

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী রাজনীতিতে অনেকেই তার বাবার ঘনিষ্ট সহযোদ্ধা দাবি করে তিনি বলেন, বাবার আশির্বাদে যারা বড় বড় নেতা হয়েছেন তারা আজ আমাদের পরিবারের প্রতি চরম অবহেলা ও অবজ্ঞা করে যাচ্ছেন। একই সাথে রাজনৈতিক সততা ও আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়ে দূর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন। আমি সেই দুর্নাম ঘোঁচাতে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগকে সু-সংঘঠিত করতে আসন্ন সম্মেলন ও কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে প্রার্থী হয়েছি।

৮০’ দশকে পরিবারের আর্থিক দুরাবস্থার কথা তুলে ধরে জুয়েল বলেন, সে সময়ে আমাদের পরিবারে দৈনিক ইনকাম ছিলেন ৫০০ টাকা। সেখান থেকে পরিবারের জন্য ২০০ টাকা রেখে ৩০০টাকা পার্টির জন্য ব্যয় করতেন বাবা। দলের কঠিন সময়ে বাবা দলকে আঁকড়ে ধরেছিলেন বলেই নেতাকর্মীরা বাবাকে কক্সবাজার আওয়ামীলীগের বটবৃক্ষ হিসাবে আখ্যায়িত করেন। আমি বাবার সততাকে বুকে ধারন করে রাজনীতির মাঠে আছি।

সংবাদ সম্মেলন ও ইফতার পার্টিতে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সিনিয়র সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।