ইজিবাইক চালক ও মোটরসাইকেল আরোহীর সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি মহল রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা করেছে। তারা নিজেদের স্বার্থে দুই গ্রামে অশান্তি সৃষ্টি করেছে। অথচ এটি এমন কোন ঘটনা ছিলো না।
গেল ৮ এপ্রিল টেকনাফের হ্নীলা মৌলভী বাজারে দুই গ্রামবাসির সংঘর্ষের ঘটনা সূত্রপাত হওয়া যুবক মোঃ আলম সাংবাদিকদের এসব কথা বলেছেন।
বুধবার (১৪ এপ্রিল) কক্সবাজার রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি আরো বলেন, আমি নিজের ইজিবাইক নিয়ে মৌলভীবাজার দাঁড়িয়ে ছিলাম। এ সময় সোনা বলীর ছেলের সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা কয়েকজন আমাকে মারধর করে। পরে আনার আত্মীয় স্বজন এসে তাদের উপর হামলা চালায়। জুমা’র নামাজের পর স্থানীয় মেম্বার বেলাল উদ্দিনের নির্দেশে সাদ্দাম মাইকে লোকজন ডেকে উত্তেজনা ছড়ান। এক পর্যায় সংঘর্ষ বড় হয়ে পড়ে। পুলিশ র্যাব এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। এ ঘটনাকে পুঁজি করে কিছু লোক তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ আদায়ে হীন চষ্টা শুরু করেন। এক পর্যায়ে রাতে রোহিঙ্গা ভাড়া করে উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নুরুল মোস্তফার বিরুদ্ধে মিছিল করে ও কুশপুত্তলিকা পুড়ান। যেটি সংঘর্ষের সাথে কোন প্রকার সম্পৃক্ততা নেই। এটি শুধু নুরুল মোস্তফার প্রতিপক্ষরা নাটক সাজিয়েছে।
আলম বলেন, 'এ ঘটনাটি ছিল আমার সাথে এক মোটরসাইকেল আরোহীর। অথচ মিছিল হয়েছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে !
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত যুবক সোলতান আজম বলেন, শুধু নুরুল মোস্তফা নয়, আমি এলাকায়ও ছিলাম না। অথচ মামলায় আমাকেও আসামী করা হয়েছিলো অদৃশ্য কারণে।
মূলত সিন্ডিকেটের বাইরে নেতা হওয়ার কারণে নুরুল মোস্তফাকে মানতে পারছে না একটি চক্র।
তিনি বলেন, 'আমরা জেনেছি ভাড়া করা রোহিঙ্গা অপরাধীদের দিয়ে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে মিছিলটি করা হয়েছে। আর টাকা বিনিয়োগ করেছেন ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। এখন আমরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। রাতের অন্ধকারে যদি বড় ধরনের ঘটনা ঘটে তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। আমরা নিরাপত্তা দাবি করছি।
উপস্থিত এলাকাবাসীর দাবি, দুই গ্রামের ঘটনা সুষ্ঠু সমাধান না করে উল্টো সংঘর্ষে উস্কে দেওয়া কখনো মানবিক কল্যান রাজনীতি হতে পারে না।
ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নুরুল মোস্তফার অনেক প্রতিপক্ষ রয়েছে। রাজনীতি করলে প্রতিপক্ষ থাকে। কিন্তু দুই গ্রামের মানুষকে ব্যবহার করে তার প্রতিপক্ষরা ছাত্রলীগের সুনাম নষ্ট করাটা দুঃখজনক বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান তারা।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইমাম হোসেন, মোহাম্মদ আবছার, সৈয়দুর বশর, মোহাম্মদ আয়েস প্রমুখ।
জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নুরুল মোস্তফা বলেন, আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেদের রাজনীতিতে আসা মনে হয় অপরাধ। আমি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর থেকে একেক সময় একেক অপপ্রচার চালাচ্ছে আমার বিরুদ্ধে। সর্বশেষ গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা অপরাধীদের দিয়ে মিছিল করিয়েছে। কারা, কি জন্য এমন কান্ডজ্ঞানহীন অপরাজনীতি করছেন আমি জানি না।
তব আশা করবো ভবিষ্যতে নিজেদের ভুল তারা বুঝতে পারবেন। ছাত্রলীগের দূর্নাম করে কখনো বঙ্গবন্ধু প্রেমিক হওয়া যায় না বলে মনে করেন তিনি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মুনতাকিম হোছাইন
বার্তা সম্পাদক: ইকবাল হোছাইন
মেইলঃ bangladeshpaper71@gmail.com
অফিসঃ ০১৮৮-৬৬১০৬৬৬ বার্তা প্রধান ০১৮৫৭৬৭১৯৪৩
কপিরাইট আইন,২০০০ © অনুসারে বাংলাদেশ পেপার কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত