বাংলাদেশ, , শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩

পায়ে ধরে ক্ষমা না চাওয়ায় রিদুয়ানকে কিশোর গ্যাং এর হত্যা

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০২২-০৩-৩০ ১৩:০৪:০৭  

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কক্সবাজার শহরের সিটি কলেজ এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের নিয়ন্ত্রণ নিতে কলেজছাত্র রিদুয়ান সিদ্দিকীকে হত্যার পরিকল্পনা নিয়েছিল অপর একটি গ্রুপ। নিহত রিদুয়ান রিফাত গ্রুপের সক্রিয় সদস্য বলে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর ছায়া তদন্তের উঠে এসেছে। চিহ্নিত হয়েছে হত্যাকান্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত বেশ কয়েকজন।

মঙ্গলবার রাত নয়টা পর্যন্ত এঘটনায় নিহত রিদুয়ানের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন এজাহার না দেয়ায় মামলা হয়নি বলে জানিয়েছে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন।
পুলিশের একাধিক নির্ভরযোগ্য সুত্রের দাবি, কক্সবাজার শহরের সাব মেরিন ক্যাবল বিজিবি ক্যাম্প ও গরু হালদা এলাকার নিয়ন্ত্রণ কিশোর গ্যাং লিডার আকিব, তামজিদ আহাত, ছোটন, প্রান্তিকদের গ্রুপের। আর মাঝখানে সিটি কলেজ রিফাত ও রিদুয়ানের। দীর্ঘদিন ধরে এলাকাটির নিয়ন্ত্রণে নিতে মরিয়া ছিল আকিব গ্রুপ। যার বড় বাঁধা রিফাত, রিদুয়ান গ্রুপ।
তাদের (রিদুয়ান-রিফাত) আটকানোর পরিকল্পনার সুযোগ আসে সোমবার সকালে সিটি কলেজ এলাকায় রিফাত-রিদুয়ান গ্রুপের সদস্যরা আকিব গ্রুপের এক সদস্যকে মারধর করে। সেটির প্রতিশোধ নেয়ার অজুহাতে আকিব গ্রুপের সদস্যরা রিদুয়ানকে টার্গেট করে রাখে। সন্ধ্যার পর রিদুয়ানকে থামিয়ে পায়ে ধরে ক্ষমা চাওয়ার জন্য বলে আকিবের নেতৃত্বে আসা তার গ্রুপের একাধিক সদস্য।
ক্ষমা না চাওয়া নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে রিদুয়ানকে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় তারা।
২৮ মার্চ সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কলেজছাত্র রিদুয়ান সিদ্দিকী।
সে সাহিত্যিকা পল্লী এলাকার আবু বক্কর সিদ্দীকির ছেলে বলে জানা গেছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, দুইটি গ্রুপের আধিপত্য নিয়ে এ হত্যাকান্ড ঘটে থাকতে পারে। আমাদের প্রাথমিক তদন্তেও তা উঠে এসেছে। হত্যাকান্ডে জড়িত একাধিক আসামীকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। তাদের গ্রেফতারে মাঠে কাজ করছে পুলিশের একাধিক টিম। পরিবারের পক্ষ থেকে এজাহার দেয়া হলে মামলা নেয়া হবে।
সিটি কলেজ এলাকার ফজলুল কাদের বলেন,
কলেজ কেন্দ্রিক আধিপত্য ছাড়াও এলাকায় কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রনে গ্যাং লিডাররা রাজনৈতিক আশ্রয় পেতে বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় থাকে, তাই আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পাই না।
কক্সবাজার শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বলেন, সোমবার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এলাকার পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। যেহেতু আসামীদের চিহ্নিত করা গেছে তাদের গ্রেফতারে আমরা কাজ করছি।

পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা