জনবল সংকট, দুর্গন্ধময় পরিবেশ, অব্যবস্থাপনা, ডাক্তারদের অপেশাদার আচরণ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকার কারণে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আস্থা হারিয়ে ফেলছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।
গোটা হাসপাতাল জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে রোগীর ব্যবহারিত গজ ব্যান্ডেজসহ ময়লা আর্বজনা। এতে র্দুগন্ধে রোগীরা টিকতে পারছেন না হাসপাতালে। এছাড়া অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও নোংরা টয়লেটের দুর্গন্ধে অনেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতেই চান না। অভিযোগ রয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক শ্রেণীর চিকিৎসকরাও সরকারি হাসপাতালের পরিবর্তে তাদের প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নারী ও শিশু ওয়ার্ডের টয়লেটে যেমন দুর্গন্ধ তেমনি নেই আলোর ব্যবস্থা। চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা জানান, রাতে অন্ধকারের মধ্যে ভয়ে ভয়ে যেতে হয় টয়লেটে। রাতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মানে মনে হয় যেন ভুতুড়ে স্থান।
এছাড়াও রাতে কোন ওয়ার্ডে আসেনা ডাক্তার কিংবা নার্স। অনেকে আবার অভিযোগ করে বলেন, নার্সরা তাদের রুমে বসে মাথার উকুন বাছে৷ এদের ডাকলেও সাড়া দেয় না বরং শুনতে হয় চড়া মেজাজের কথা।
উল্লেখ্য, পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মধ্যে নয়টি পদই শূন্য। জুনিয়র কনসালট্যান্ট গাইনি একজন থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে উপস্থিত থাকেন না। এছাড়া সংকট রয়েছে মেডিকেল অফিসারের।
পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইসি হাসান আত আব্দুল্লার সাথে একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইব্রাহিম টিটন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এমনটা হওয়ায় কথা নয়। এরকম কোনো কিছু হলে আমি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।