বাংলাদেশ, , মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

কক্সবাজার পর্যটন শিল্প ধ্বংসে ষড়যন্ত্র চলছে

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০২২-০২-২৩ ২৩:১৯:১৯  

কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে বলে দাবি করে সী ক্রুজ অপারেটর ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (স্কোয়াব) নেতারা বলেছেন, সরকারের ১৩ দফা দাবির সাথে আমরা এক মত। এসব দফা বাস্তবায়নে আমরা মাঠে আছি।

তারা বলেন, দীর্ঘ দুই দশক ধরে সেন্টমার্টিন সুরক্ষা ও উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে স্কোয়াব। একই সাথে নেতিবাচক প্রভাব থেকে দ্বীপ রক্ষায় পালন করছে বিভিন্ন কর্মসূচীও। এ অবস্থায় সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত করা হলে পর্যটন শিল্পে ক্ষতির মুখে পড়বে ব্যবসায়ীরা।

বুধবার দুপুরে কক্সবাজার শহরের একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত “টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌ-রোডে পর্যটক জাহাজ ও পর্যটক সীমিতকরণ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা ও ট্যুর অপারেটরদের এবং দ্বীপবাসীর স্বার্থ রক্ষায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা” শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন তারা এসব কথা বলেছেন।

স্কোয়াবে সভাপতি তোফায়েল আহমেদ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর।

বক্তারা বলেন, কক্সবারের পর্যটন শিল্প বিকাশে সরকার মহাপরিকর্পনা বাস্তবায়ন করছেন। একই সাথে সাড়ে ৪ লাখ কোটি টাকার মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এ অবস্থায় সেন্টমার্টিনে পর্যটক যাতায়াত সীমাবদ্ধ করার সিদ্ধান্ত হতাশাজনক।

তারা বলেন, আমরা চাই প্রতিদিন ১০ টি জাহাজে সর্বোচ্চ ৩০০০ হাজার পর্যটক সেন্টমার্টিন যাতায়ত করবে। যাদের মধ্যে ১৪০০ পর্যটক হোটেলে অবস্থান করবেন। আর ১৬০০ পর্যটক ফিরে আসবেন। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যদি দুটি জাহাজ চলাচল করে তবে ১২৫০ জন পর্যটক যাতায়াতের সুযোগ পাবে। একই সাথে কযেক হাজার পর্যটক যেমন সেন্টমার্টিনের সৌন্দর্য উপভোগ থেকে বঞ্চিত হবে। এছাড়া অনেক পর্যটক কাঠের নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে সেন্টমার্টিন যাওয়ার আশংকা রয়েছে। এ অবস্থায় স্বল্প সংখ্যক পর্যটকদের নিয়ে ব্যবস্থাপনায় সংকটে পড়বে ১৮৮ টি আবাসিক হোটেল। ফলে যে উদ্দেশ্যে জাহাজ চলাচল সীমিত করা হচ্ছে তার সুফল আসবেনা বরং সর্বক্ষেত্রে ঝুঁকি বাড়বে।

স্কোয়াব নেতারা বলেন, সেন্টমার্টিন যেতে হলে নাকি ট্যাক্স দিতে হবে। আমার দেশের ভূখন্ডে যেতে কেন ট্যাক্স দিতে হবে ? আমরা কোন ট্যাক্স দিবো না। যদি দিতে হয় তবে কক্সবাজারের জনগণকে সাথে নিয়ে আন্দোলনে নামবো।

তারা বলেন, শুধু সেন্টমার্টিন ইসিএ’ এলাকা ভূক্ত নয়, কক্সবাজারের নাজিরর টেক থেকে শুরু করে টেকনাফ জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ইসিএ ভূক্ত এলাকাকে রক্ষা করতে সমন্বয় প্রয়োজন। মূলত ইসিএ’ এলাকার ধোঁয়া তুলে কক্সবাজার পর্যটন শিল্পকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

তারা সেন্টমার্টিনের দক্ষিণ অংশকে মা’ কচ্ছপের জন্য উন্মুক্ত রেখে উত্তর অংশে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত রাখার পরামর্শও দেন।

এ সময় নুর মোহাম্মদ ছিদ্দিকী, সংগঠনের নেতা শফিউল আলম কাজল উপস্থিত ছিলেন।


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা