খাদ্য নিশ্চিত, এবার হৃদয়ের খোরাক

প্রকাশিত: ১১:০৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২

বিপি, ঢাকা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে, এখন হৃদয়ের খোরাক নিশ্চিত করতে হবে। বিদেশি ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ নিয়ে আপত্তি না থাকলেও দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে দেশের জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সংস্কৃতি চর্চার পরিধি বাড়াতে বাংলা একাডেমিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনী আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন সরকারপ্রধান।

দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা আরও বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকেও যদি আপনারা একটি উদ্যোগ নেন, তাহলে দেখবেন যে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অনেক মেধাবী কবি-শিল্পী-সাহিত্যিক-সংস্কৃতিসেবী আমরা পাব। তাদের সেই জ্ঞান-মেধা বিকাশের যেমন সুযোগ আসবে, আবার সেই সঙ্গে আসলে মানুষের হৃদয়ের খোরাকটাও তো দরকার। খাদ্যনিরাপত্তা আমরা করে দিয়েছি, এখন হৃদয়ের খোরাক জোগাতে হবে।’

হৃদয়ের খোরাকটা সংস্কৃতিকর্মীদের মধ্য থেকেই আসে বলে মনে করেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘সেটা সংস্কৃতিসেবীর মধ্য থেকেই আসে, এই সংস্কৃতি জগৎ, বাংলাদেশ শিল্প সাহিত্য জগৎ থেকে আসে। এই ধরনের মেলা যদি হয় বা অনুষ্ঠানগুলো যদি হয় তাহলে আমাদের যারা যুবসমাজ আছে তারাও আর ভিন্ন পথে যাবে না। বাংলাদেশ, বাংলা ভাষা, বাংলা সাহিত্য, বাংলা সংস্কৃতি- এদিকেও তারা আন্তরিক থাকবে।’

জীবন, জীবিকা, জ্ঞানার্জনের প্রয়োজনে ভিনদেশি ভাষা নিয়ে তার কোনো আপত্তি নেই বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি বিদেশি ভাষা শিক্ষায় কোনো আপত্তি করব না। বিদেশি ভাষা শেখা দরকার। তাদের সংস্কৃতি চর্চাও জানা দরকার। কিন্তু নিজের যে অস্তিত্ব, সেটাকে আমাদের আরও বড় করে দেখাতে হবে। উন্নতমানের করতে হবে। সেদিকে বিশেষভাবে নজর দিয়েই আমাদের সংস্কৃতি চর্চাটা আরও বাড়াতে হবে।

‘কাজেই জেলায় জেলায় যদি এ ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়, তাহলে সেটা খুবই উপযুক্ত হবে বলে আমি মনে করি। আমি মনে করি এ বিষয়ে প্রশাসনে যারা আছে তাদের একটি উদ্যোগ নেয়া দরকার। তারা উদ্যোগ নেবে এটা আমরা চাই।’

করোনাভাইরাসের কারণে বইমেলা দেরিতে শুরু হওয়ায় আক্ষেপ ছিল প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো হঠাৎ করে আবার করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিল। তাছাড়া ওমিক্রন নামে নতুন আরেকটি ভ্যারিয়েন্ট আসাতে এবং সেটা খুব বৃদ্ধি পাচ্ছিল, তাই একটু দেরি করেই শুরু করতে হলো। সবার স্বাস্থ্যের কথা, নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই আমাদেরকে এই সিদ্ধান্তটা নিতে হয়েছে।’