নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজার শহরের লালদীঘিপাড়স্থ হোটেল পাঁচতারা ও আহসান বোর্ডিংয়ে পুলিশের অভিযানে ২১ খদ্দের-পতিতা আটকের ঘটনায় ২ হোটেল মালিককে আসামী করে মামলা রুজু করা হয়েছে।
এতে ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে ১২ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।যার মামলা নং-জিআর-৭৫৩।
মামলার আলোচিত আসামী হলেন, হোটেল পাঁচতারার মালিক লালদিঘীর পাড় এলাকার মৃত সৈয়দ নুরের ছেলে রমজান আলী সিকদার ও আহসান বোর্ডিং’র মালিক মৃত আহসান উল্লাহর ছেলে শহর আলী।
এজাহার সুত্রে জানা গেছে, শহরের লালদীঘিরপাড় পাঁচতারকা হোটেল ও আহসান বোর্ডিং এ পতিতালয় খুলে ব্যবসা করার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ২১ খদ্দের-পতিতাকে আটক করা হয়। আটক ও পলাতকদের বিরুদ্ধে পতিতালয় পরিচালনা, পতিতাবৃত্তি ও সহায়তা করার অপরাধ এবং মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। থানার মামলা নং-৪৬, তারিখ-২৮/১২/২০২১ইং। মামলার বাদী করা হয়েছে কক্সবাজার সদর মডেল থানার এসআই সানা উল্লাহ ও তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এসআই মাজেদুল হককে।
স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
পতিতাবৃত্তি ও মানবপাচারের দায়ে পাঁচতারা হোটেলের মালিক রমজান আলী সিকদারের বিরুদ্ধে আগেও কয়েকটি মামলা হয়। জাসদ সমর্থিত যুবজোটের কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি হওয়ার সুবাদে অদৃশ্য শক্তির কারণে বারবার মামলার চার্জসীট থেকে সে বাদ পড়ে যায়।
এর আগে তার বাবা মৃত সৈয়দ নুরও হোটেলের মালিক থাকাকালীন পতিতাবৃত্তির দায়ে মামলার আসামী হয়। মামলা নিয়ে তিনি মৃতবরণ করেন। এছাড়া লালদীঘির পাড়ের পাঁচতারা হোটেলসহ ৫টি হোটেলের বিরুদ্ধে আদালতে পতিতাবৃত্তির দায়ে রায় হলেও এসব হোটেল মালিকরা বহাল তবিয়তে থেকে পতিতা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব পতিতালয়ের মালিকদের দ্রুত আটক করতে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর সেলিম উদ্দিন জানান, শহরের লালদীঘি পাড়ের হোটেল পাঁচতারা ও আহসান বোর্ডিংয়ে অভিযান চালিয়ে ১৪ খদ্দের ও ৭ পতিতা আটক করা হয়েছে। পতিতাবৃত্তির দায়ে হোটেল মালিক রমজান আলী সিকদার ও শহর আলীসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটকদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যহত আছে বলে জানান তিনি।