বাংলাদেশ, , বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

মাদক কারবারি ক্ষমতা বাগিয়ে নিতে মরিয়া

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০২১-১০-২০ ০০:৩৭:৫০  

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার অন্তর্গত ৯ নং খুনিয়াপালং এর ৭ং ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য মোস্তাক আহম্মেদের অসংখ্য মাদক মামলা চলমান থাকা অবস্থায় আবারো ইউপি সদস্য হওয়ার প্রচেষ্টা জনমনে তৈরী করেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া । খোঁজ নিয়ে জানা যায় ইউপি সদস্য হওয়ার পর থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাদক কারবারের মাধ্যমে তিনি তৈরী করেছেন অবৈধ টাকার পাহাড় । বহুবার মাদক (ইয়াবা) নিয়ে আটক হলেও কোন এক অজ্ঞাত শক্তির জোরে দাপটের সাথে ফিরে আসেন নিজ এলাকায় ।

এই ইউপি সদস্যের ব্যপারে অনুসন্ধান করলে প্রতিবেদকের কাছে তার বিভিন্ন মাদক সংক্রান্ত মামলার তথ্য আসে।

আদালতে বিচারাধীন কিছু মাদকের মামলা তথ্যঃ

১/ কক্সবাজারের উখিয়া থানার এফআইআর নং-১৭/১৭১ ,তারিখ- ১১ মার্চ ,২০২১ ,

/ডিএমপির মোহাম্মদপুর থানার এফআইআর নং ৪৩/৪৩- তারিখ -১৪ই জুন  ২০১৯  ,

৩/ ডিএম্পি যাত্রাবাড়ী থানার এফআইআর নং-৬৫/১১৪৫ (2TUKS) -তারিখ -১৬ই অক্টোবর ২০১৮

৪/কক্সবাজার সদর থানার এফআইআর নং- ৯৫/৯৫- তারিখ -৩০শে জুন ২০১৭

৫/কক্সবাজার রামু থানার এফআইআর নং-১১/১৫-  তারিখ – ৫ মে ২০১৫

অনুসন্ধানে আরো বেরিয়ে আসে , ইউপি সদস্য মোস্তাকের নামে বেনামে ঢাকা কক্সবাজারে আছে বহু সম্পদ এবং বিভিন্ন নেতার আস্থাভাজন হওয়ার জন্য সে অনেক সময় বহু দামি দামি উপহার সামগ্রী দিয়ে থাকেন  ।

এছাড়াও বিগত ১০শে মার্চ মরিচ্যাবাজার থেকে র‍্যাবের অভিযানে তিন মাদক কারবারি ২০ হাজার পিস ইয়াবা নিয়ে আটক হলেও কৌশলে পালিয়ে যায় তাদের সাহায্যকারী এই ইউপি সদস্য মোস্তাক আহম্মেদ ।

এই ইউপি সদস্য শুধু মাত্র মাদক নয় এলাকায় জমি দখল সহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকলেও এলাকাবাসী তার কাছে অসহায় ।  তার ব্যপারে স্থানীয় বাসিন্দা ফরিদ আহম্মেদ জানান , ” আমরা মোস্তাক মেম্বারের অত্যাচারের অতিষ্ঠ কিন্ত তার ব্যপারে থানায় অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায় না , কারন তার আছে অঢেল টাকা । কেউ  অভিযোগ নিয়ে থানায় গেলে হিতে বিপরীত হয়” ।


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা