বন্যার্থদের জন্য ইয়াসিদের ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প

প্রকাশিত: ১:২৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৫, ২০২১

সিন্দুকেই বাক্স বন্দি অসহায় মানুষদের আর্তনাদের কথা। পরিস্থিতির চাপে পিসে গেছে তাদের জীবনের স্বাভাবিক অবস্থা। পরিস্থিতির আদলে মৌলিক অধিকারও গেছে ভেসে।এখন তারা খাদ্য, চিকিৎসার সংকটে।

কোভিড এ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে জীবন চলাচলে হাত পা বন্দি সাধারণ মানুষ। ঠেকেছে এখন দেয়ালে পিঠ। রোগ মানুষের জীবনকে মারাত্নকভাবে ব্যহত করে। এই কঠিন সময়ে দুর্দশাগ্রস্ত দরিদ্র মানুষগুলোর জন্য অসুস্থতা বিষয়টি অসহনীয়।

বন্যায় কবলিত দারিদ্র মানুষকে তাদের মৌলিক অধিকার চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে এবার কাজ করছে কক্সবাজারের তরুন সংগঠন YASID। সার্বিক সহযোগিতায় নোঙর।

কোভিড পরিস্থিতিতে টেলিমেডিসিন সেবা একটি বহুল ব্যবহৃত এবং প্রচলিত সেবা। YASID কক্সবাজারে টেলিমেডিসিন এবং ফ্রি মেডিসিন সার্ভিস দিচ্ছে।

ডা. হামিদ হোসেন আজাদ
এমবিবিএস, সিসিডি (বারডেম), এমপিএইচ (কোর্স)
প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, ওয়াইএসএবি।
ডা. ওমর ফারুক
এমবিবিএস, সিএমইউ
বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতাল।
টেলিমেডিসিন সেবা দিয়েছে টানা পাঁচ ঘন্টা শতাধিক রোগীরকে। 50 রোগীকে ফ্রি মেডিসিন সেবা প্রদান করেছে।

জান্নাতুল এশা
চতুর্থ বছর (এমবিবিএস)
চট্টগ্রাম মা-শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজ।
সরাসরি তিনি ফিল্ডে ছিলেন তার কাউন্সিল টিম নিয়ে সেবা দিতে ইয়াসিদের সাথে।

এই বিষয়ে সহায়তা প্রাপ্ত একজন স্থানীয় বাসিন্দা জনাবা আমেনা খাতুন জানান:
“আমি তো মা, আমারে অসুখ হয়ছে কইলে মানায়। এই যে চারদিক পানি টানা এক সপ্তাহ পানিতে থাকতে থাকতে হাতে পায়ে চুলকানি বের হয়ছে আবার সর্দি কাশিও। লকডাউন তার উপরে হাটু পানি দিয়া বাইর হওয়া যায় না। আপনারা আমাদের পাড়ায় এসে চিকিৎসা করতেছেন এতে আমাদের জন্য অনেক উপকার হয়ছে। অনেক ভালো লাগতেছে।”

এই বিষয়ে ইয়াসিদের প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী পরিচালক কাইছার হামিদ বলেন:
গ্রাম পর্যায়ে বন্যার এই সময়ে শারীরিক সুস্থতার নাজুক অবস্থা। প্রথমত, লকডাউনের কারণে এবং গাড়ি ব্যবস্থার বেহাল অবস্থার কারণে হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তার দেখাতে পারছে না। দ্বিতীয়ত, এই করোনা পরিস্থিতিতে তাদের হাতে টাকা না থাকায় রোগ হলেও অবহেলা করতেছে। 2 জন ডায়াবেটিস রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং তাদের কাউন্সেলিং করা হয়েছে কি কি করা উচিত কি কি খাবার খাওয়া বর্জন করতে হবে এবং মেডিসিন সেবাও দিয়েছি। আমরা এ সময়ে মানুষদের জন্য আরও কাজ করতে চাই এতে সরকারি বেসরকারি সহযোগিতা আমাদের দরকার।”

করোনা, বন্যা, দারিদ্রতা, অসহায়ত্ব সর্বোপরি স্বাভাবিক পরিস্থিতির জন্য চাই দক্ষ তরুন ভলান্টিয়ার আর সার্বিক সহযোগিতা ।