নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজার সদরের খরুলিয়ায় সামান্য কথাকাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাতে মোর্শেদ কামাল হত্যার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি কফিল উদ্দিনকে (১৫) গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) ভোররাতে ঝিলংজার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শফিকুল ইসলাম আসামি কফিল উদ্দিনকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
গ্রেফতারকৃত কফিল উদ্দিন ঝিলংজার ৮ নং ওয়ার্ডের খরুলিয়ার কোনারপাড়া গ্রামের গরু ব্যবসায়ী ফরিদের ছেলে।
ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শফিকুল ইসলাম জানান, খরুলিয়ার আলোচিত মোর্শেদ কামাল হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী কফিল উদ্দিন গভীর রাতে চট্রগ্রাম থেকে ট্রাকযোগে কক্সবাজার আসার এমন খবর নিশ্চিত হওয়ার পর, উক্ত ট্রাকের নাম্বার ও একজন পরিচিত ড্রাইভার আজিমসহ খুনি কফিলউদ্দিনকে ধরার জন্য রওনা হই, যাওয়ার পূর্বে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশকে অবহিত করলে তারা জানান, ওই এলাকাটা আমাদের থানার আওতার বাইরে, থানার আওতার মধ্যে হলে আমরা অভিযান পরিচালনা করবো। তাই আমি এবং কয়েকজন মিলে আসামির স্থান নিশ্চিত করে রওনা দিলাম তাকে ধরার জন্য। আমরা সাতকানিয়া যাওয়ার পর তার অবস্থান সম্পূর্ণ নিশ্চিত করি এবং উক্ত ট্রাকের পিছনে পিছনে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে আমরাও একসাথে রওনা হই। দীর্ঘ ৭ ঘন্টা অভিযানের পর আসামি কফিল উদ্দিন ঈদগাঁও বাস স্টেশন পার হয়ে ট্রাক থেকে নেমে গেলে আমরা তাকে পাকড়াও করি, পরবর্তীতে আসামি কফিল উদ্দিনকে নিয়ে খুরুলিয়াবাজারে চলে আসলাম। এরপরে কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলামকে ফোনে অবহিত করার মধ্য দিয়ে আমি মোরশেদ হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি কফিলুদ্দিনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করি।
তিনি আরো জানান, এভাবে মোরশেদ কামাল হত্যার প্রধান আসামিকে আটক করার মত সকল অপরাধ কর্মকাণ্ডে ইনশাআল্লাহ আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে, অপরাধমুক্ত মাদকমুক্ত ও সন্ত্রাসমুক্ত ঝিলংজা ইউনিয়নকে সাঁজাতে এবং ঝিলংজার মানুষের অন্তরে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষে আমার যতটুকু সম্ভব আমি চেষ্টা চালিয়ে যাব, মাদক সেবনকারী, মাদক কারবারিসহ কোন অপরাধীদের সাথে আমার কোন আপোষ নাই। অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে ঝিলংজা ইউনিয়নবাসীসহ সকলের দোয়া প্রত্যাশা করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন বিকেলে কক্সবাজার সদরের খরুলিয়া ঘাটপাড়া এলাকার ছলিমের দোকানের সামনে কফিল উদ্দিন ও মোর্শেদ কামালের মধ্যে ঠাট্টার ছলে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় একে অন্যজনকে তিরস্কার করেন। এই সামান্য বিষয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে মোর্শেদ কামালের পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় কফিল উদ্দীন। এতে মোর্শেদ গুরুতর জখম হন।
দ্রুত তাকে উদ্ধার করে লিংকরোডস্থ মেরিন সিটি হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে নেয়ার পথে ডুলাহাজারা পর্যন্ত গেলে গাড়িতে মোর্শেদ কামালের মৃত্যু হয়। নিহত মোর্শেদ ঘাটপাড়া এলাকার সৈয়দ আলমের পুত্র। এ ঘটনায় নিহত মোর্শেদ কামালের মা মোস্তফা বেগম বাদী হয়ে কফিল উদ্দিনকে প্রধানসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামী করে সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনির উল গিয়াস বলেন, গ্রেফতারকৃত কফিল ঝিলংজা ইউনিয়নের খরুলিয়ায় মোর্শেদ হত্যাকাণ্ডের এজাহারভুক্ত আসামী। তাকে প্রচলিত নিয়মে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মুনতাকিম হোছাইন
বার্তা সম্পাদক: ইকবাল হোছাইন
মেইলঃ bangladeshpaper71@gmail.com
অফিসঃ ০১৮৮-৬৬১০৬৬৬ বার্তা প্রধান ০১৮৫৭৬৭১৯৪৩
কপিরাইট আইন,২০০০ © অনুসারে বাংলাদেশ পেপার কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত