পেকুয়ায় ধর্ষণের অপমানে ছাত্রীর আত্মহত্যা!

প্রকাশিত: ৫:১২ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৪, ২০২১

পেকুয়া প্রতিনিধি :

কক্সবাজারের পেকুয়ায় তিন বখাটে কর্তৃক গণধর্ষণের অপমান সইতে না পেরে রেখা মণি নামে ৮ম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে।

শনিবার (২৪ জুলাই) রাত ২টার দিকে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের হাজীর পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

তাবাস্সুম জন্নাত রেখা মণি (১৪) একই এলাকার দিন মজুর আইয়ুব আলীর মেয়ে ও রাজাখালী বেশারাতুল উলুম মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রী।

এ ঘটনায় নিহত মাদ্রাসা ছাত্রীর পিতা আইয়ুব আলী বাদী হয়ে বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের মকসুদ আহমদের ছেলে আবুল কাশেম, রাজাখালী ইউনিয়নের হাজী পাড়ার মৃত বাদশার ছেলে আলমগীর ও নুরুল হকের ছেলে রবি আলমকে বিবাদী করে পেকুয়া থানায় এজাহার দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছি বলে জানান।

নিহত রেখা মণির পিতা আইয়ুব আলী বলেন, ঘটনার সময় আমি ও আমার স্ত্রী বাঁশখালীর পুঁইছড়ি আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলাম। রাতে ছেলে রাসেল ফোন দিয়ে বলেন, রেখা মণি বিষপান করেছে। দ্রুত বাড়িতে এসে স্থানীয়দের কাজ থেকে জানতে পারি মৃত বাদশার ছেলে আলমগীর, নুরুল হকের ছেলে রবি আলম ও বাঁশখালী ছনুয়া এলাকার মকসুদ আহমদের ছেলে আবুল কাশেম আমার মেয়েকে রাতে জোরপূর্বক বাড়ি থেকে বের করে মৎস্য প্রজেক্টের টংঘর নিয়ে যায়। ওখানে তিনজন মিলে ধর্ষণ করে। তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। এমন ঘটনায় তিনি অপমানবোধ করায় রাতে বিষপান করেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য নেজাম উদ্দিন নেজু জানান, আমি যতটুকু জানতে পেরেছি নিহত ছাত্রীকে মাদ্রাসা আসা যাওয়ার পথে বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করতো বাঁশখালীর ছনুয়া এলাকার আবুল কাশেম নামে এক বখাটে। সর্বশেষ রাতে ওই বখাটেসহ তার আত্মীয় আলমগীর ও রবি আলম রাতে জোরপূর্বক বাড়ি থেকে বের করে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে তাকে বাড়িতে রেখে চলে যায়। এ ঘটনায় ছাত্রী অপমান সইতে না পেরে রাতে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে।

এ বিষয়ে পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক ( তদন্ত) কানন সরকারের কাছে জানতে চাইলে বলেন, তাস্সুমা জন্নাত নামে এক কিশোরীর বিষপানে আত্মহত্যার খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।