বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগ

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০২১-০৭-০৬ ২২:০৩:৫১  

 

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পাংশা সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

গত ৪ মার্চ ২০২১ তারিখে শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ৩৭.০২.০০০০.১০৪.৩০.০০১.২০.২১৩ নং স্মারকে প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত অফিস আদেশের মাধ্যমে গত ৭ মার্চ ২০২১ তারিখে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন আব্দুল খালেক। যোগদানের পর থেকেই নানা অনিয়ম আর দুর্নীতিতে তার নাম এলেও এখনো কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। তবে, সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত অধ্যক্ষ।

গত ৭ মার্চ তারিখে পাংশা সরকারি কলেজে যোগদানের পর থেকেই একের পর এক অনিয়মে জড়িয়েছেন অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক। সর্বশেষ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যায় গত ২৭ জুন (রবিবার) কলেজ ফান্ড থেকে উত্তোলন করা ৬ লক্ষ টাকার বিষয়ে। উত্তোলিত এই ৬ লক্ষ টাকা কলেজে থাকা বেশ কয়েকটি ফান্ড থেকে বিভিন্ন খাতে খরজ দেখিয়ে উত্তোলন করা হয়েছে। এর মধ্যে তালিকাও সংগ্রহ করা হয় খরজ দেখানো সংশ্লিষ্ট খাতের। যার মধ্যে কয়েকটি খাত ও এতে উত্তোলিত অর্থের পরিমাণ হলো, জ্বালানি – ৪৭,৫০০, ইন্টারনেট – ৩২,৬২৫, পানি বিল – ১৫,৪৪৪, উৎসব – ৩৪,০০০। তবে উল্লেখিত খরজের এই খাতগুলোর মধ্যে কোনো খাতের কোনো প্রকার খাতে খরজের বিন্দুমাত্র প্রমাণ মেলেনি। এছাড়াও বেশ কয়েকজন শিক্ষকের নামে দেনা দেখিয়ে উত্তোলন করা হয়েছে ১,৮৫,৭৯০ টাকা। যার মধ্যে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল খালেকের নামেই উত্তোলন করা হয় ১,১২,৮০০ টাকা।

এর পর গত ২৯ জুন এইসকল অর্থ উত্তোলনের ব্যাপারে আমাদের কাছে থাকা অভিযোগের ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল খালেকের কাছে জানতে চাইলে তিনি এই টাকা উত্তোলনের খরজের খাতের কোনো প্রকার প্রমাণ বা কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।

এরপর তার নামে উত্তোলিত ১,১২,৮০০ টাকা কি হিসেবে উত্তোলন করা হয়েছে সেটা জানতে চাইলে তিনি এর কোনো সঠিক জবাব দিতে পারেননি।

১ দিন সময় নিয়ে গত ৩০ জুন তিনি এই খরজের প্রমাণ দেখানোর কথা বলেন। কিন্তু গত ৩০ জুনও মেলেনি যে সকল হিসেব দেখিয়ে কলেজ ফান্ড থেকে ৬ লক্ষ টাকা উত্তোলন করেছে তার কোনো প্রকার কাগজপত্র কিংবা প্রমাণ বরং আব্দুল খালেকের কাছ থেকে শুনতে হয় নতুন বাক্য। তিনি বলেন কলেজ ফান্ড থেকে এই টাকা উত্তোলন করে আমরা বকেয়া পৌরকরের কিছুটা পরিশোধ করেছি।

অভিযোগ অনুসন্ধানে পৌরকরের কথার এই সূত্র ধরে জানা যায় ফেব্রুয়ারী ২০২১ তারিখ পর্যন্ত পৌরকর ব্যতীত কলেজের সমস্ত বিল পরিশোধ করা রয়েছে। যেখানে বকেয়া পৌরকরের পরিমাণ ১৭ লক্ষ টাকা।

যার মধ্যে ৫ লক্ষ টাকা সরকারি ভাবে পৌরকর পরিশোধের জন্য কলেজকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। যা চেকের মাধ্যমে পাংশা পৌরসভার মেয়র ওয়াজেদ আলী মাস্টারকে প্রদান করে অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক।

এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করেও মেলেনি প্রতিকার। শুধু আশ্বাস নয়, তদন্ত করে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে কর্তৃপক্ষ এমন প্রত্যাশা, শিক্ষার্থী-সাধারণ শিক্ষক।


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা