পেকুয়ায় সিএনজি গ্যাসের সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ, অগ্নিদগ্ধ

প্রকাশিত: ১১:৩০ অপরাহ্ণ, জুলাই ২, ২০২১

ইউসুফ বিন হোছাইন,চকরিয়াঃ

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নে সিএনজিচালিত সিএনজির গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে পাঁচ শিশুসহ ছয়জন অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে একটার দিকে উপজেলার আলহাজ কবির আহমদ চৌধুরী বাজারের কাছে একটি গ্যারেজে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন পেকুয়া সদর ইউনিয়নের গোঁয়াখালী এলাকার সাহাব উদ্দিনের ছেলে মো. তারেক জিয়া (১৩), টেকপাড়া এলাকার মো. জুনাইদের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (১৪), পশ্চিম গোঁয়াখালী এলাকার মহিউদ্দিনের ছেলে মো. শামিম (১৬), পূর্ব গোঁয়াখালী এলাকার আবুল হাসেমের ছেলে নুরুল আলম (১৪), উত্তর গোঁয়াখালী এলাকার মো. জামাল হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ তামিম (১৪) ও রাজাখালী ইউনিয়নের বামুলাপাড়া এলাকার আলী হোসেনের ছেলে রুহুল আমিন (৪৫)। রুহুল আমিন গ্যারেজটির মালিক ও আহত অন্যরা তাঁর দোকানের কর্মচারী। তাঁদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পেকুয়া আলহাজ কবির আহমদ চৌধুরী বাজারের পশ্চিম অংশে রুহুল আমিনের একটি গ্যারেজ রয়েছে। গ্যারেজটিতে সিএনজি মেরামত করা হয়। আজ দুপুর পৌনে একটার দিকে একটি সিএনজি মেরামতে কাজ করার সময় হঠাৎ এটির গ্যাসের সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ওই গ্যারেজের মালিক ও কর্মচারীরা আহত হন।

চকরিয়া থেকে আসা দগ্ধ ছয়জনের মধ্যে চারজনেরই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। এদের মধ্যে রহমান ও শামীমের শরীরের ২৫ শতাংশ, তামিমের ১০ শতাংশ, নুরুল আজমের ১৬ শতাংশ এবং তারেক ও তৌহিদের শরীরের ১৮ শতাংশ পুড়ে গেছে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক এস খালেদ প্রথম আলোকে বলেন, অগ্নিদগ্ধ ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনই শিশু। যে চারজনের শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের আশঙ্কামুক্ত বলা যাবে না। সবাই বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছে।

পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মুজিবুর রহমান বলেন, অটোরিকশার গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর দগ্ধ ছয়জনকে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। অবস্থা খারাপ হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছয়জনকেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। আহত ব্যক্তিদের কারও অভিযোগ থাকলে সে বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।