বাংলাদেশ, , শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজার সরকারি কলেজ’র দূর্নীতির তদন্ত শুরু

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০২১-০৬-২৩ ২২:৫৭:৫৮  

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কক্সবাজার সরকারি কলেজে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্তে আসছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর চট্টগ্রাম কার্যালয়’র একটি উচ্চ পর্যাযের তদন্ত টিম। বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সকাল দশটায় তদন্ত কমিটির সদস্যরা কলেজ শিক্ষক, শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, কাউন্সিলর এবং মানবিক বিভাগের বিভিন্ন বিষয়ের বিভাগীয় প্রধানদের সাথে কথা বলবেন।

তদন্তে সহযোগিতা করতে গেল ২০ জুন কক্সবাজার সরকারি কলেজ অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়ে অবগত করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর হোসাইন মোহাম্মদ আরিফ ইলাহী স্বাক্ষরিত মাউশি/আঃ/পরিঃ/কাঃ/চট্টঃ/২০২১/১৩৭(১১) নং স্মারকে তদন্তের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

তবে তদন্তের বিষয় সম্পর্কে অবগত নন বলে দাবি করেছেন কলেজ অধ্যক্ষ কামরুল ইসলাম।

জানা যায়, কক্সবাজার সরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক (একাদশ ও দ্বাদশ) শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি ও হুমকির মুখে ফেলে দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতে নিয়ে চরম উদ্বিগ্ন, উৎকণ্ঠায় রয়েছেন অভিভাবক। এমন অভিযোগ এনে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন সচেতন অভিভাবক। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে কলেজের অনিয়ম তদন্তে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ডের পরিচালক হোসাইন মোহাম্মদ আরিফ ইলাহীকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। তাকে সহযোগিতা করতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক (কলেজ) মোঃ মোশারফ হোসেনকে।

গঠিত তদন্ত কমিটি কাল (বৃহস্পতিবার) সকালে কলেজে এসে তদন্ত কাজ শুরু করবেন।

তদন্ত কমিটির প্রধান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ডের পরিচালক হোসাইন মোহাম্মদ আরিফ ইলাহী বলেন, কলেজের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অভিভাবক মহলের পক্ষ থেকে শিক্ষামন্ত্রীসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়। অভিযোগ তদন্ত করতে আমাকে ও সহকারি পরিচালক (কলেজ) মোঃ মোশারফ হোসাইনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কাল (বৃহস্পতিবার) তদন্তে যাবো আমরা। তবে তদন্তের আগে বিস্তারিত কোন কথা বলতে রাজি হননি তিনি।

কক্সবাজার সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ কামরুল ইসলাম বলেন, যতটুকু জানি কিছু শিক্ষার্থীর (শিক্ষাবর্ষ ২০১৯-২০২০) মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আবেদন করেন। কিন্তু তারা কাগজপত্র সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে না পারায় তাদের আবেদন গ্রহণ করা হয়নি। এ নিয়ে অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারেনি। এটি নিয়ে আমাদের করার কিছুই নেই।

তদন্ত কমিটির আগমন নিয়ে কোন চিঠি পাননি বলে দাবি করেছেন তিনি।


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা