সিলেট প্রতিনিধি,বাংলাদেশ পেপারঃ

সিলেটে স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের বলি হয়েছেন অ্যাডভোকেট আনওয়ার হোসেন। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে স্ত্রী শিপা বেগমকে।

বুধবার রাত আড়াইটায় নগরীর তালতলার একটি বাসা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। শিপাকে বৃহস্পতিবার আদালতে প্রেরণ করে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। একই সঙ্গে নিহতের লাশ উত্তোলনের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। তবে আবেদন দুটির শুনানি হয়নি।

আইনজীবী আনওয়ার হোসেনকে হত্যার অভিযোগে তার ভাই মনোয়ার হোসেন মঙ্গলবার সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে কোতোয়ালি থানার ওসিকে ৩০২ ধারায় মামলা রুজু করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন আদালত।

মামলায় পরকীয়া প্রেমিক শাহজাহান চৌধুরী মাহিকে এক নম্বর ও গ্রেফতার শিপা বেগমকে দুই নম্বর আসামিসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

স্বামী হত্যার অভিযোগে স্ত্রী শিপা বেগমকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি এসএম আবু ফরহাদ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি বলেন, অ্যাডভোকেট আনওয়ার হোসেনের ভাই বাদী হয়ে হত্যামামলা করেছেন। এ মামলায় শিপা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে প্রেরণ করে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে লাশ উত্তোলনের জন্য আবেদন করা হয়।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এএসএম আব্দুল গফুর গণমাধ্যমকে বলেন, অ্যাডভোকেট আনওয়ার হোসেন নগরীর তালতলা এলাকায় স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। তিনি সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী ছিলেন। কিন্তু তার অগোচরে স্ত্রী শিপা বেগমের পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল শাহজাহান চৌধুরী মাহি নামে একজনের সঙ্গে। এর জেরেই আনওয়ার হোসেনকে হত্যা করা হয়।

তিনি জানান, গত ৩০ এপ্রিল সেহরি খেয়ে আনওয়ার ঘুমান। পরদিন দুপুর প্রায় ৩টার দিকে স্ত্রী সবাইকে জানান আনওয়ার হোসেন মারা গেছেন। পরে তাকে দাফন করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে আনওয়ার হোসেনের পরিবার জানতে পারে স্ত্রীর পরকীয়ার জের ধরে আনওয়ারকে স্ত্রীসহ কয়েকজন মিলে হত্যা করেছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলার আবেদন করেন আনওয়ার হোসেনের ভাই মনোয়ার হোসেন। শুনানি শেষে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ওসিকে ৩০২ ধারায় মামলা রুজু করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন আদালত।