লাল পাহাড়ে ঘেরা সবুজ ক্যাম্পাস-কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রকাশিত: ৭:৪০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৬, ২০১৯

 ওসমাণী রাকিব ,কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ঃ

দেশের তৃতীয় বৃহত্তম জেলা কুমিল্লা। শিক্ষা,শিল্প,সাহিত্য­ ও সংস্কৃতির পীঠস্থান এই কুমিল্লা।

কুমিল্লার বিখ্যাত লালমাই পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত কোটবাড়িতে রয়েছে ঐতিহাসিক শালবন বিহার এবং ময়নামতি জাদুঘর। এই শালবন বিহার এবং ময়নামতি জাদুঘরের কূল ঘেষে ছোট-বড় অসংখ্য লাল মাটির পাহাড়কে ঘিরে দেশের ২৬ তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ২৮ মে,২০০৬ সালে প্রাতিষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।

 

এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের মধ্য-পূর্বাঞ্চলের জনসাধারণের সুদীর্ঘ কালের অপেক্ষার অবসান ঘটে। ৫২ একরের এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালে ৪ টি অনুষদের অধীনে ৭ টি বিভাগে ৩০০ জন শিক্ষার্থী ও ১৫ জন শিক্ষক নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করে। এই বছর তথা ২০১৯ সালের ২৮ মে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ১৪ তম বছরে পদার্পণ করেছে। তুলনামূলক নবীন এই বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষা,সংস্কৃতি, খেলাধুলা ও শিল্পে অভাবনীয় সাফল্য অর্জনের মাধ্যমে হয়ে উঠেছে দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ টি অনুষদের অধীনে রয়েছে ২১ টি বিভাগ।

অনুষদগুলো যথাক্রমে- ইঞ্জিনিয়ারিং বা যন্ত্রবিজ্ঞান অনুষদ,বিজ্ঞান অনুষদ,কলা অনুষদ,সমাজবিজ্ঞান অনুষদ,ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ও আইন অনুষদ। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে প্রায় সাড়ে সাত হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছেন। রয়েছে মোট ৫ টি আবাসিক হল। তন্মধ্যে ৩ টি ছাত্র হল ও ২ টি ছাত্রী হল। শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য রয়েছে দুইটি ডরমিটরি বা আবাসস্থল,একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ,কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া,খেলার মাঠ,মেডিকেল সেন্টার,রয়েছে একটি চমকপ্রদ শহীদ মিনার,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য,মুক্তমঞ্ছ,ন­ির্মাণাধীন বাস্কেটবল কোর্টসহ রয়েছে অসংখ্য স্থাপনা।

 

এছাড়াও শিক্ষক,কর্মকর্তা-কর্­মচারী ও শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অধীনে রয়েছে প্রায় ২০ টি বাস। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য(ভিসি) হিসেবে প্রফেসর ড. এমরান কবীর চৌধুরী দায়িত্ব পালন করছেন।