ক্যাম্পে আগুন পরিকল্পিত হলে কঠোর ব্যবস্থা-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৮:৫৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৪, ২০২১

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অগ্নিকাণ্ড যদি পরিকল্পিত হয়ে থাকে তবে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, তদন্তে কারো নাম উঠে আসলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

বুধবার (২৪ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেছেন।

এসময়য় তিনি বালুখালীর ৯ নম্বর ক্যাম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ করেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আগুনে ঘরবাড়ি হারানো কাউকে ভাসানচর নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে কেউ যদি নিজের ইচ্ছায় ভাসানচর যেতে চাই তাহলে তাদের সেখানে প্রেরণ করা হবে।

তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খোঁজ খবর রাখছেন। একই সাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনাও দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আগুনে অনেক স্থানীয় পরিবারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদেরকেও সহযোগিতার আওতায় আনা হবে। যাতে তারাও দ্রুত ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, কক্সবাজার-৩ আসনের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদসহ অন্য কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, গত সোমবার (২২মার্চ) কক্সবাজারের উখিয়া বালুখালীতে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার ১৫৫ জন আহত হয়েছেন বলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় ১০ হাজারের রোহিঙ্গা বসতি পুড়ে যাওয়া ছাড়াও দেড়শ’ শিশুসহ অন্তত ৪০০ জন নিখোঁজ রয়েছ জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহসিন।

এদিকে কি কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে তা তদন্তে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারকে প্রধান করে ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন কার্য দিবস অর্থাৎ বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) এ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

তবে কমিটির একজন সদস্য অধিকতর তদন্তের জন্য আরও এক সাপ্তাহ সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন।