বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

জিপি-রবির ব্যান্ডউইথ কমাতে নির্দেশ, ইন্টারনেটের গতি কমবে

বাংলাদেশ পেপার ডেস্ক ।।  সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০১৯-০৭-০৪ ১৯:২১:২৩  

ডেস্ক নিউজঃ

দেশের প্রভাবশালী দুই টেলিকম অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবি আজিয়াটার ব্যান্ডউইথ সক্ষমতা আংশিক কমিয়ে দিতে সরবরাহকারীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

এতে এই দুই অপারেটরের ইন্টারনেট সেবা সক্ষমতায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিটিআরসির জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক জাকির হোসাইন বলেন, এই দুই কোম্পানি তাদের পাওনা পরিশোধ করেনি। অর্থ পরিশোধ না করা পর্যন্ত গ্রামীণফোনের ৩০ শতাংশ ও রবির ১৫ শতাংশ ব্যান্ডউইথ সক্ষমতা বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকারের কাছ থেকে নোটিশ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবেন।

নীরিক্ষা আপত্তি হিসেবে এ টাকা দাবি করে বিটিআরসি। অবশ্য দুই অপারেটরই এই পাওনা নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেছে।

এর আগে একাধিকবার পাওনা আদায়ে দুই অপারেটরকে চিঠি দিয়েছে বিটিআরসি। গত এপ্রিলে জাতীয় সংসদে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার এই পাওনার হিসাব তুলে ধরেন। ওই সময় তিনি চিঠি দেয়ার কথাও জানান।

ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দেয়ায় এই দুই কোম্পানির সেবা ব্যহত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে তাদের কল ড্রপ বেড়ে যাবে এবং ইন্টারনেটের গতি ধীর হয়ে যাবে।

গ্রামীণফোনের কাছে সরকারের ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা পাওনা। আর রবির কাছে পাওনা ৮৬৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা।

বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী, মে মাস শেষে দেশে মোবাইল ফোন গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ১৬ কোটির কিছু বেশি। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের গ্রাহক প্রায় সাত কোটি ৪৮ লাখ। আর রবির গ্রাহক চার কোটি ৭৭ লাখ।

বিটিআরসি আজ বৃহস্পতিবার লেভেল–৩ ক্যারিয়ার লিমিটেড, ম্যাঙ্গো টেলিসার্ভিসেস, সামিট কমিউনিকেশন, আমরা টেকনোলজি ও ফাইবার অ্যাট হোম গ্লোবালকে গ্রামীণফোন ও রবির ব্যান্ডউইথ সীমিত করার নির্দেশ দিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ব্যান্ডউইথ বাড়ানো যাবে না। বারবার তাগাদা দেয়ার পরও গ্রামীণফোন ও রবি সরকারের এ পাওনা অর্থ দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করা হয় চিঠিতে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, বিটিআরসি দুই মোবাইল অপারেটরের বিরুদ্ধে আজ যে সিদ্ধান্ত নিল, তা হঠকারী ও জঘন্য।

তিনি বলেন, এটা তাদের শাস্তি দেয়ার জন্যে হলেও শেষ পর্যন্ত ভোগান্তি হবে গ্রাহকদের। দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই মোবাইল অপারেটরের ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দেয়ার এই সিদ্ধান্ত মূলত জনগণের ওপর শাস্তির বোঝা চাপিয়ে দেয়ার নামান্তর। কাজেই এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে সরকারের কাছে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।


পূর্ববর্তী - পরবর্তী সংবাদ
       
                                             
                           
ফেইসবুকে আমরা